পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫০ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ভএব কি করা যায় ? এই কথার পর মহারাজ মহেন্দ্র কহিলেন, আমরা পুরুষানুক্রমে নবাবের চাকর, যদি আমাদিগের হইতে নবাব সাহেৰের কোন ক্ষতি হয়, তবে ভূতিভোগী ভূত্য কুলে সৰ্ব্ব কাল দুরপনেয় অপষশঃ থাকিবেক । অতএব আমি কোন পরামর্শের মধ্যে থাকিব না ; তবে পূৰ্ব্বে যে দুই এক বাক্য কহিয়াছিলাম সে কেবল ক্রোধ ও অজ্ঞানভ। প্রযুক্ত, এইক্ষণে বিবেচনা করিলাম,এ সকল কার্য্যে লিপ্ত থাক; ভাল নয়। রাজ রাজৰল্লভ, জগৎসেট, মীর জাফরালি থ এবং রাজা রাম নারায়ণ উত্তর করিলেন, যদি আপনি এপরামর্শ হইতে ক্ষান্ত হয়েন, তাহা হইলে দেশ রক্ষ হয় না; ভদ্রলোকের ধন, প্রাণ, ও মান কিছুই থাকে না। অনেকে অনেক রূপ কহিলে মহারাজা মহেন্দ্র কহিলেন আপনারদিগের অভিলাষ কি ? তখন রাজ রামনারায়ণ কহিলেন, পূৰ্ব্বে এই কথার প্রস্তাব এক দিবস হইয়াছিল, তাহাতে সকলে কহিয়াছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় বুদ্ধিমান, প্রাজ্ঞ ও কাৰ্য্য কুশল ; ভঁাহাকে আনাইয়। জিজ্ঞাসা করা যাউক তিনি যেরূপ পরামর্শ দিবেন সেইমত কাৰ্য্য করা যাইবেক। এইক্ষণে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় উপস্তিম্ভ আছেন, ইহাকে প্রস্তাবিত বিষয়ের সুপরামর্শ জিজ্ঞাসা করুন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে সকলে জিজ্ঞাস। করিলেন, আপনি সকলই জ্ঞাত হইয়াছেন এই