পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৫১ ক্ষণে কি কৰ্ত্তব্য বল ন । রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় হাস্য করিয়া নিবেদন করিলেন, মহাশয়ের। সকলেই বিবেচক, আমি ক্ষীণবুদ্ধি; আপনারা আমাকে পরামর্শ দিতে যে অনুমতি করিতেছেন বড় আশ্চর্যা: সে যাহাহউক, আমারদিগের দেশাধিকারী যবন, ইহার দেীরাত্ম্যে আপনার ব্যস্ত হইয়। প্রতীকারোপায় চেষ্টা করিতেছেন সঙ্গত বটে, কিন্তু সমভিব্যহারি মীর জাফরালি থ সাহেব নিজে যবন হইয়। যখন অনিষ্ট কল্পনা করিতেছেন ইহাই আশ্চর্য্যের বিষয়। এই কথায় সকলে হাস্য করিয়া উঠিলেন এবং কহিলেন হাইনি যবন বটে, কিন্তু হীনজাতি হইলেও ই হার প্রকৃতি হীন নহে। কৃষ্ণচন্দ্র রায় উভর করিলেন, এদেশের উপর বুঝি ঈশ্বরের নিগ্রহ হইয়া থাকিবে, নতুবা এককালে এরূপ সমূহ বিপদ উপস্থিত হয় না। দেখ যিনি দেশধিকারী ভঁাহার পরানিষ্ট চিন্তা যৎপরোনাস্তি ; মুন্দরী রমণী দৃষ্টি মাত্রেই তাহার ধৰ্ম্ম নষ্ট করিতে প্রবৃত্ত হয়েন এবং কিঞ্চিৎ অপরাধে প্রজাকুলের জাতি প্রাণ নষ্ট করেন। দ্বিতীয়তঃ বর্গী* আসিয়া লঠ করে তাহাতে রাজার মনোযোগ নাই । তৃতীয়তঃ সন্ন্যাসী আসিয়া যাহার উত্তম ঘর দেখে, তাহাই ডাঙ্গিয়া জ্বালানি কাঠ করে রাজপুরুষেরা নিবারণ করেন না, এইরূপে দেশে অশেষ • বোধ হয় মহারাষ্ট্রীয় দিগের অত্যাচার হইবেক \