পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । বিধ উৎপাত হইয়াছে, অতএব দেশের কৰ্ত্তী যবন থাকিলে কাহারও ধৰ্ম্ম জাতি ও বিভব থাকিবে না, ঈশ্বরের বিড়ম্বন না হইলে এত উৎপাত হয় না। এই নিমিত্ত আমি অনেকধৰ্ম্মাত্মা ঈশ্বরপরায়ণ লোককে কহিয়াছি, আপনারা ঈশ্বরের আরাধন করুন, তাহা হইলে উৎপাত নিবারণ ও যবন দিগের রাজ্য ভ্ৰষ্ট হয় এবং হিন্দুদিগের ধৰ্ম্ম ও হিন্দু জাতি রক্ষ। পায়। এই উপদেশ আমি সৰ্ব্বদাই দিতেছি কৃপাবান ঈশ্বর সৃষ্টি করিয়াছেন, অতএব তিনি আপন সৃষ্টি কখনই নষ্ট করিবেন না । এক সুপরামর্শ অাছে, যদি সকলের মত হয়, তবে আমি তাহার চেষ্টা করিতে পারি। সকলে জিজ্ঞাসা করিলেন কি পরামর্শ বলুন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কহিলেন, আপনার মনোযোগ পুৰ্ব্বক শ্রবণ করুন। দেশাধিকারী সৰ্ব্ব প্রকারে উত্তম হন, এবং অন্য জাতীয় ও এতদেশীয় না হন, তবেই মঙ্গল হয়। জগৎসেট প্রভূতি কহিলেন, কে এরূপ গুণশালী বিস্তার করিয়া কহ । রাজা কহিলেন, বিলাভ নিবাসী ইঙ্গরাজ জাতি যাহার কলিকাতায় কুঠী করিয়া অবস্থান করিতেছেন,যদি তাহার এদেশের রাজা হন, তবে সকল মঙ্গল হইবে। ইহা শুনিয়। সকলেই কহিলেন, ভঁাহাদিগের কি গুণ আছে ? রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় উত্তর করিলেন, ইংরাজের বিবিধ গুণ বিশিষ্ট,সত্যবাদী,জিতেন্দ্রিয়, পরহিংস।