পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৫4 লার মনে উদয় হইল যে, ইংরাজেরা আমাদের অধিকারে অনেক কালাবধি বাণিজ্য করিতেছে, এবং তদার। বিলক্ষণ অর্থও লাভ করিয়াছে। কিন্তু তদ্বিষয়ে সরকারে অত্যপই রাজকর দেয়, অতএব এক্ষণে তাহার কিছু বৃদ্ধি করিতে হইয়াছে। মনে মনে এই বিবেচনা করত প্রধান ই কৰ্ম্মচারিদিগকে ডাকিয় বলিলেন যে “দেখ, যে সকল স্থানে ইংরাজদেগের কুঠা আছে, তত্রত সরকারী কৰ্ম্মকর্তাদিগকে পত্র লেখ যে, যে নিয়মে এক্ষণে ইংরাজদিগের নিকট হইতে রাজকর আদায় হইয়। থাকে, অদ্যাবধি যেন তদপেক্ষ অধিক প্রেরণ করে,। ইহ। শ্রবণ করিয়৷ পাত্র কহিলেন, ইংরাজের। বিদেশীয় মহাজন, এদেশে অনেক কলাবধি বাণিজ্য করিতেছেন, নিয়মিত রাজকর চিরকাল দেন, কখন অধিক দেন নাই ; এখন আপনি অধিক লইবেন এ উভম পরামর্শ বোধহয় না,তবে মহাশয় কৰ্ত্তা,যেমন অভিরুচি হয়। এই কথায় যাবতীয় প্রধান প্রধান পাত্র মিত্রগণ সকলেই কহিলেন, মহেন্দ্র যাহা কহিতেছেন ইহা অসঙ্গত নহে; আবহমানকাল যাহা হইয়। আসিতেছে এখন তাহার ব্যতিক্রম করা ভাল হয় না, পাত্র মিত্ৰগণের বাক্য শুনিয়া নবাব রাগান্বিত হইয়া কহিলেন, তোমর। আমার আজ্ঞানুবৰ্ত্তী ভৃত্য মাত্র। আমি যেমন কহিব সেইমত কাৰ্য্য করিবে । তোমারদিগের বিবেচনায় কি করে ? পুনরায়