পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। হাস্যাদি নানা বিধ শিষ্টাচার করিতে লাগিলেন । সাহেবের প্রধান কৰ্ম্মচারী উভয়ের বাক্য উভয়কে বুঝাইয়া দিলেন। অনেকানেক কথার পর রাজা কহিলেন, মহাশয়! আমার কিঞ্চিৎ বিশেষ নিবেদন আছে, সাহেব কহিলেন কি নিবেদন বলন । রাজ মুরশিদাবাদের তাবদ্ধ স্তান্ত জ্ঞাপন করিয়া কহিলেন যে, এ রাজ্য আপনারা রক্ষা না করিলে যাবতীয় লোক অত্যন্ত ক্লেশ পায়, যবনের অধিকার থাকিলে দেশ নষ্ট হয়, এই কারণ নবাবের প্রধান পাত্র মিত্ৰগণ আপনকার নিকটে আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন । সাহেব সকল বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়৷ আশ্বাস দিয়া কহিলেন, এই সম্বাদ আমি বিলাতে লিখি, তথাকার আজ্ঞা প্রাপ্তে পশ্চাৎ যুদ্ধ করিয়৷ এভদেশ হস্তগত করণ পুৰ্ব্বক তাবৎ প্রজাকে পরম সুখে রাখিব । আপনি এই সমাচার নবাবের অমাত্যদিগকে লিখুন, সাহেব যথেষ্ট আশ্বাস বাক্যে সম্বৰ্দ্ধিত করিয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে বিদায় করিলেন এবং এই সকল বৃত্তান্ত বিলাতে লিখিলেন । রাজা শিবনিবাসের বাটীতে গিয়া নবাব সাহেবের প্রধান পাত্রকে তৎসংবাদ প্রেরণ করিলেন তচ্ছবণে সকলেই হৃষ্ট হইলেন । ঘটনাস্থত্রে লোকের ভাগ্যে যে কি ঘটিতে পারে, নবাব সেরাজদৌল-ঘটিত পশ্চাল্লিখিত বৃত্তান্তই তাহার প্রকৃত দৃষ্টান্ত স্থল। সেরাজদেী