পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৫৯ হিলেন চল কলিকাতায় যাই, সে স্থান নবাবের অধিকার নহে। কলিকাতা ইংরাজদিগের অধিকার, এবং রাজ। কৃষ্ণযন্দ্র রায় তাহাদিগের গুণ বিস্তারিত করিয়া কহিয়াছেন, আমি জ্ঞাত আছি যে র্তাহারা শরণাগত জনকে ত্যাগ করেন না, অতএব কলিকাতায় গমন কর। পরামর্শ ; নতুব। সকল নষ্ট হইবে। এই স্থির করিয় রাজ। রাজবল্লভ সপরিবারে কলিকাতায় গমন পুৰ্ব্বক কুঠার বড় সাহেবের আশ্রয় লইলেন ও উহাকে সবিশেষ নিবেদন করিলেন । সাহেব আশ্বাস দিয়া বলিলেন তোমাদিগের কোন চিন্তা নাই, স্বচ্ছন্দে কলিকায় থাক। ইহা বলিয়। আপনার প্রধান কৰ্ম্মচারিকে কহিলেন রাজ রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাস দুই জনে নবাবের অত্যাচার অসহিষ্ণু হইয়া আমার শরণ লইয়াছেন ; তুমি ইহঁরদিগকে লইয়। এক নিস্তৃত স্থানে রাখ। আজ্ঞাক্ৰমে প্রধান প্রধান ভূত্যের। র্তাহাদিগকে উত্তম রূপে রক্ষণাবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। এদিকে নবাব সেরাজদৌল৷ শ্রবণ করিলেন যে রাজ রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাস সপরিবারে পলায়ন করিয়৷ কলিকাতায় অবস্থান করিতেছেন । শ্রীতিমাত্র নবাব ক্রোধান্বিত হইয়। মহারাজ মহেন্দ্রকে আজ্ঞা করিলেন, অতি শীঘ্ৰ কলিকাভার কুঠীর বড় সাহেবকে পত্র লেখ যে, আমার অধীন ভূত্য রাজস্বল্পতৃ ও কৃষ্ণদাস এখান হইতে পলায়ন করিয়া