পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৬৩ আপনার উচিত নহে। আমি এ দেশের অধিকারী, আমার বাক্যে যদ্যপি একবার নিয়ম ভঙ্গ হয় তাহাও পণ্ডিতের কর্তব্য ; অধিক কি কহিব, আপনকার সহিত যথেষ্ট প্রণয় আছে, যাহাতে সে প্রণয় ভঙ্গ না হয় ও বন্ধু বিচ্ছেদ না ঘটে, এমন করিবেন। অপর লিখিয়াছেন আপনার কুঠ যেখস্থানে আছে সেই২ স্থানে আমার লোক অধিক রাজকর লইতে উদ্যত হইয়াছে; ইহা অামার জ্ঞাতসারে হইয়াছে সন্দেহ নাই । কিম্বা তাহার কারণ এই, পূৰ্ব্বে যখন আপনার। এদেশে কুষ্ঠা করিলেন, তখন আপ অলপ সামগ্রীর বাণিজ্য করিতেন, এখন সৌভাগ্য ক্রমে ক্রয় বিক্রয় ও বাণিজ্য কাৰ্য্য প্রবল হইয়াছে। অতএব কিরূপে পুৰ্ব্বের মত রাজকর থাকে, এবং বণিকদিগেরও ধৰ্ম্ম যে, যদি অধিক বাণিজ্য হয়, তবে দেশীধিকারীকেও কিঞ্চিৎ অধিক দেয়। সে যাহা হউক, এখনই রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাসকে শীঘ্র এখানে পাঠাইবেন, এবং যেস্থানে আপনারদিগের কুষ্ঠা আছে সেই সেই কুঠতে সমাচার লিখিবেন অধিক রাজকর দেয়;এখন প্রণয় অনুরোধে আমি এরূপ করিতে পারি,যে এক্ষণে যে রূপ রাজকর দিবেন, এইমত চিরকাল থাকিবে ; ভবিষ্যতে আর বৃদ্ধি হইবেক না । এইরূপ পত্র লিথিয় কলিকাতায় পাঠাইলেন। দূত আসিয়া কুঠার বড় সাহেবকে পত্র