পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররয়ের জীবন চরিত । ৭৩ ফেলিল। যুদ্ধের মহা অডিম্বরে প্রায় সকল লোকেই শ্বস ব্যস্ত হইয়া স্থানান্তরে গমন করিতে লাগিল। রাজ রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাস নৌক যোগে বঙ্গ দেশে গমন করিয়। অতি গোপন ভাবে রহিলেন । এখানে সাহেবের সেনাগণ অনেকক্ষণযুদ্ধ করিয়া ক্লান্ত হইলে,নবাবের সৈন্য গণ নগরে প্রবেশ করিয়া নগরবাসিদিগের ধনসম্পত্তি ও দ্রব্য সমগ্রী অপচয় করিতে লাগিল, নবাবের প্রধান প্রধান সৈন্য সকল পুরাণ কুঠীর নিকট উপনীত হইলেই, কুতীর সাহেব তাহাদিগের সহিত রণ করিতে আরম্ভ করিলেন, কিন্তু কাহার শক্তি হয় না যে এক পদ অগ্রগামী হন : সাহেবের যুদ্ধ ও সাহস দেখিয়া সকলেই যথেষ্ট প্রশংসা করত বলিতেলাগিল যে, এমন যুদ্ধ কখন কেহ দেখে নাই। শিলাবৃষ্টির ন্যায় গোলা গুলি পড়িতে লাগিল, এইরূপ সপ্তাহ যুদ্ধ হইল, নবাবের বিস্তর সৈন্য প্রাণত্যাগ করলেক । কুঠীর সাহেবের সৈন্য অপ,কি করবেন ; গড়ের ভিতর ভিঠিতে না পারিয়া জাহাজের উপর অরোহণ করলেন । পশ্চাৎ নবাব সাহেবের সৈন্য গড়ের মধ্যে প্রবেশ করিয়। যুদ্ধ করতে লাগিল। কুঠীর বড় সাহেৰ জাহাজের উপর থাকিয়। অনেক ক্ষণ যুদ্ধ করিলেন ; নবাবের বহুসৈন্য, তাহার অল্প সৈন্যে কি করিতে পারে। অনেক যুদ্ধের পর জাহাজ খুলিয়া সাহেব বিলাত গমন করিলেন । তখন তন্ত্র ছ