পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । কিছু সৈন্য আনিয়া দাও । ইহা শুনিয়া সাহেবের কৰ্ম্মচারিগণ সকলেই উদ্বিগ্ন চিত্তে চিন্ত৷ করিতে লাগিলেন , এবং আজ্ঞানুসারে কিছু সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া দিয় আপনাপন পরিবারদিগকে অতি গোপনীয় স্থানে প্রেরণ করিলেন । আপনার সকলে সৈন্যের সঙ্গে থাকিয়া যুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন এবং পুরাণ কুঠার গড়ের উপর শারি শরি কামান স্থাপন পুৰ্ব্বক এইরূপ রণসজ্জা করিয়া সকলে সাবধান থ - কিলেন। তখন পুরাতন কুঠার নীচে গঙ্গা ছিল, তাহাতে যুদ্ধের ছোট জাহাজ প্রস্তুত করিলেন এবং যাবতীয় ধন ও বহুমূল্য দ্রব্য সমস্তই ভাহতে রাখিয়া অত্যন্ত সাহস পূৰ্ব্বক প্রস্তুত হইয়। রহিলেন, বাগবাজারের পুলের উপর পঞ্চবিংশতি কামান ও কিঞ্চিং সৈন্য রাখিয়া দিলেন । কিয়দিবস পরেই নবাব সেরাজদৌল৷ ৪০৫ • হাজার সৈন্য সমভিব্যাহারে কলিকাতায় আসিয়। পৌছিলেন। চিৎপুরের নিকটবৰ্ত্তী হইলে যুদ্ধ আরম্ভ হইল , তৎকালে ইংরাজদিগের কৰ্ম্মাধ্যক্ষ ভুেক সাহেবের অধীন ১৭০ জন সেনা মাত্র ছিল । কিন্তু তিনি ঐ অভ্যপ সেনাদিগকে এমনি কৌশল করিয়া স্থাপিত করিয়া রাখিয়াছিলেন যে, তাহৱা প্রথম যুদ্ধে নবাবের মহাবল সেনাদলকে পরাভৰ করিল এবং তাহদের অনেককেই হত করিয়া