পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিভ । ৭৯ সমর করিবেন না। এই কথায় মীর জাফরালি থা হাস্য করিয়া সত্য করিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের ত্রৈ ঈশ্বরকে সাক্ষী করিয়া বিদায় হইলেন। , পরে কৃষ্ণনগরে গমন করিয়া দেখেন যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় শিবনিবাসের বাটীতে গিয়াছেন, ভিনি নবাবের শঙ্কায় কখন কোন বাটতে থাকেন ইহা র্তাহার ভূত্যবর্গেরাও জানে না। সৰ্ব্বদ। চিন্তিত থাকেন যে, এই সকল কথার যোজনাকর্ত। আমি, ইহ যদি নবাব সেরাজদৌলার কর্ণগোচর হয়, তৰে আমার জাতি প্রাণ থাকিবে ন৷ ইতি মধ্যে পাত্র মুরশিদাবাদ হইতে মহারাজার নিকটে উপস্থিত হইয় সমস্ত নিবেদন করিলেন । মহারাজ জ্ঞাত হইয়। পাত্রকে আজ্ঞা করিলেন, তুমি অদ্যই কলিকাতায় গমন কর, বিস্তারিত সমাচার সাহেবের নিকটে নিবেদন করিয়৷ শীঘ্ৰ যাহতে নবাব নিপাত্ত হয় তাহার চেষ্টা পাও । পাত্র রাজাজ্ঞানুসারে কলিকাতায় অসিয়া সাহেবের সহিত সাক্ষাৎকার লাভ পূৰ্ব্বক সমস্ত নিবেদন করিলেন। সাহেব তুষ্ট হইয়। রাজপাত্রকে প্রসাদ দ্রব্য দিয়া যথেষ্ট সম্মান করিয়া বিদায় করিলেন। কালীপ্রসাদ সংহ কিঞ্চিৎ পরে বাট প্রস্থান করিলেন। সাহেব আপন যাবতীয় সৈন্যকে আজ্ঞা করিলেন যে তোমরা সকলে মুসজ্জ হইয়া প্রস্তুত হও, আমি কল্য নবাব সেরাজদৌলার সহিত সমর করিতে