পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮. মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। যাইব । আজ্ঞামাত্র সকল সৈন্য রণসজ্জা করিয়া প্রস্তুত হইল, সাহেব দেখিলেন, সকল সৈন্য প্রস্তুত হইয়াছে, তখন শুভক্ষণে গমন করিলেন ও নানা প্রকার বাদ্য বাজিতে লাগিল । বাদ্যের ধ্বনি শ্রবণ ও সৈন্যের অপূৰ্ব্ব সজ্জা দশন করিয়া সকল লোক চমৎকৃত হইয়া জয় জয় ধ্বনি করত যাত্রিক দ্রব্য সকল আনিয়া সম্মুখে রাখিতে লাগিল । সাহেব আপন সেনাপতিকে আজ্ঞা করিয়া দিলেন, যে গ্রামের লোকের উপর কোন সৈন্য যেন দৌরাত্ম্য করিতে ন পারে ; এই আদেশ দিয়া সৈন্য সঙ্গে করিয়া চলিলেন । পরে মুরশিদাবাদ পর্যন্ত সমাচার হইল ষে ইংরাজেরা নবাবের সহিত রণ করিতে আসিতেছেন, এবং নবাব সাহেৰ পূৰ্ব্বেই জ্ঞাত ছিলেন, তথাচ বিশেষ রূপে জ্ঞীত হইয় আপন সেনাপতিকে আজ্ঞ করিলেন, তুমি পঞ্চাশ হাজার সৈন্য লইয়। পলাশির বাগানে গিয়া প্রস্তুত থাক । সাবধানে সমর করিবে যেন কোন রূপে ইংরাজেরা জয়ী হইতে না পারে ;. অবশিষ্ট যাহা এখানে থাকিল, তাহ লইয়া আমি পশ্চাৎ গমন করিব । কিন্তু ইংরাজেরা বড় যোদ্ধা এবং অশেষ মন্ত্রণ জানে, কোন রূপে ক্রটি না হয়, সাবধান সাবধান ! সেনাপতি মীর জাফরালি খ বিস্তর সাহস দিয়া সৈন্যের সহিত পলাশির