পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৮১ বাগানে আসিয়। রণ সজ্জা করিয়া আছেন, কিন্তু মনোমধ্যে বিচার করিতেছেন যে কি রূপে ইংরাজেরা জয়ী হইবেন । অনেক বিবেচনার পর সৈন্যের মধ্যে প্রধান প্রধান সৈন্য দিগের সহিত প্রণয় করিয়। কহিলেন, তোমর কেহ মনোযোগ পূৰ্ব্বক রণ করিও না ; যে সেনাপতি, সেই যদ্যপি এরূপ করিতে লাগিল, ইহাতে অপর সৈন্য ঔদাস্য করিয়৷ অসাবধানে থাকিল। পরে ইংরাজেরা সসৈন্যে পলাশির বাগানে উপনীত হইয়া সমর রম্ভ করিল । নবাবের সৈন্য সকল দেখিল যে প্রধান প্রধান সৈন্যেরা মনোযাগ করিয়া যুদ্ধ করে না এবং ইংরাজদিগের গোল বৃষ্টিতে শত শস্ত লোক প্রাণত্যাগ করিতেছে । যুদ্ধ ভাল হইতেছে না, ইহা দেখিয়া মোহন দাস নামে একজন নবাবের চাকর সে নবাব সাহেবকে কহিল, আপনি কি করেন, আপনার চাকরেরা পরামর্শ করিয়৷ মহাশয়কে নষ্ট করিতে বসিয়াছে। নবাব বলিলেন সে কেমন ? মোহনদাস কহিল, সেনাপতি মীর জাফরালি খাঁ। ইংরাজের সহিত প্রণয় করিয়া রণ করিতেছে না ; অতএব নিবেদন, আমাকে কিছু সৈন্য দিয়া পলাশির বাগানে পীঠান; আমি যাইয়। যুদ্ধ করি । আপনি বাকি সৈন্য লইয়া সাবধানে থাকিবেন, পূৰ্ব্বের দ্বারে যথেষ্ট লোক রাখিবেন এবং এইক্ষণে কোন ব্য