পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । অপার শোকসাগরে নিমগ্ন হইয়। দিব। রাত্রি রোদন করিতে লাগিলেন। সমাদার ভঁহাকে অশেষৰিধ প্ৰবোধ দিয়া কহিলেন যে কেন মা, তুমি রোদন কর, আমি যখন তোমার পিত৷ বৰ্ত্তমান আছি, তখন তোমার চিন্তা কি ? তোমার পতি তোমাকে পরিত্যাগ করিয়া গেলেন বলিয় যে আমি তোমাকে পরিত্যাগ করিব তাহ। কখনই মনে করিও না ; যত কাল জীবিত থাকিব, তোমাকে আমার কণ্ঠের অভয়ণ স্বরূপ করিয়; রাখিব ! সমাদরের এই সকল প্রিয়তম প্রবোধ বচনে রাণী শোকাবেগ সস্বরণ করিয়া কহিলেন, পিতঃ ! তোম। ভিন্ন আমার আর অন্য কেহ নাই, এক্ষণে অামি তোমার নিতান্ত শরণাপন্ন জানিবেন । স্ত্রীলোক স্বসত্ত্বাবস্থায় পিত্ৰালয়ে থাকিয় যে প্রকার সুখে অবস্থান করে, সমাদার রাণীকে সেই ভাবে প্রতিপালন করিস্তে লাগিলেন। ক্রমে প্রসব কাল উপস্থিত হইলে রাণী একটী পরম সুন্দর পুত্ৰ সন্তান প্রসব করিলেন । চিরবাঞ্ছিত প্রাণ-তুল্য সন্তানের মুখ-চন্দ্র সন্দর্শন করিয়া, রাণী পুলকে পূর্ণ হইয়। কহিতে লাগিলেন যে পিতাকে বাটীর মধ্যে আসিতে বল, তিনি অসিয়। আমার পুত্রের মুখ দেখুন। সমাদার এই শুভ সংবাদ পাইয় স্থতিকাগারের দ্বারদেশে দগুীয়মান হইলে, রাণী কহিলেন, পিতঃ ! তোমার দৌহিত্রের মুখ দর্শন কর ; সমাদার পরম মুন্দর