পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৬ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। মহারাজ মহেন্দ্র পাত্ৰকৰ্ম্মে আপন ভ্রাতাকে নিযুক্ত করিয়া সপরিবারে কলিকাতায় আসিলেন । তখন বড় সাহেব বিবেচনা করিলেন যে ষবনকে প্রত্যয় নাই। অতএব পূৰ্ব্বে যেমত নবাবি ভার ছিল সেরূপ না রাখিয়া রাজ্য করতল করিতে লাগিলেন । স্থানে স্থানে নবারের লোক কাৰ্য্য করিতে লাগিল কিন্তু তাহার সাহেব লোকের কতু স্বাধীন থাকিল। এইরূপ রাজকৰ্ম্ম হইতে লাগিল, রাজ্যও দিন দিন শাসিত হইয়। অামিল। প্রজাদিগের যথেষ্ট মুখ, কোন শঙ্কা নাই, দণ্ডভয়ে কেহ কাহার উপরে দৌরাত্ম্য করিতে পারে না, প্রজা সকল রানরাজ্যের ন্যায় মুখে কালযাপন করিতে লাগিল। কিঞ্চিৎকালের পর বড় সাহেব কলিকাতায় আসিয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে তাহান করিলেন । রাজা বড় বাহেবের অজ্ঞা পাইয় কলিকাতায় উপনীত হইয়া উহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । বড় সাহেব রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে যথেষ্ট মর্যাদা করিয়া কহিলেন, তোমার মনোনীত যাহা । তাহা বিস্তারিত করিয়া বল, আমি পূর্ণ করিব । মহারাজ করপুটে নিবেদন করিলেন, আমি কেবল অনুগ্রহের আকাঙ্ক্ষী। এই কথার পর বড় সাহেৰ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে কহিলেন, তুমি আমার নিতান্তু বিশ্বাস পাত্র, এবং তোমার মন্ত্রণায় সৰ্ব্বন্ধ