পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৮৫ পরে অতি গোপনে নবাব মীর জাফরালি খার পুত্র মীর মীরণকে সম্বাদ দিয়া বড় সাহেবকে সংবাদ দিতে যায়, তাহাতে মীর মিরণ নিষেধ করিলেন যে, আর কাহাকেও এ সমাচার কহিও না । মীর মিরণ মনোমধ্যে বিবেচনা করিলেন যদি বড় সাহেব এ সংবাদ শ্রবণ করেন, তবে সেরাজদৌল। কদাচ নষ্ট হইবে না, এবং আমাদিগেরও মঙ্গল হওয়া ভার। আর পাত্রমিত্রগণ এতদ্বাৰ্ত্ত। শ্রবণ করিলেও কদাচ নষ্ট করিতে দিবেন না, বরং নবাব সেরাজদ্দৌলাকে নববি দেওনের চেষ্ট পাইবেন । অতএব নবাব সেরাজদৌলাকে এক দণ্ড রাখা নয়, ইহাই স্থির করিয়া আপনি খড়া হস্তে করিয়া নবাব সেরাজদৌলার নিকটে উপনীত হইলেন । নবাব সেরাজদৌল দেখিলেন মীরণ আমাকে ছেদন করিতে আসিতেছে, তখন মীরণকে অনেক স্তুতি করিলেন, কিন্তু নির্দয় মীরণ কদাচ ক্ষান্ত হইল না। পশ্চাৎ নবাব সেরাজদৌলা ঈশ্বরে মনোযোগ করিয়া নিঃশব্দে রহিলেন, তখন মীরণ খড়া দ্বারা নবাবকে চ্ছেদন করিয়া পশ্চাৎ প্রচার করিলেক । এই সকল বৃত্তান্ত বড় সাহেব শ্রবণ করিয়া যথেষ্ট খেদ করিলেন, এবং পাত্র মিত্রগণও মহাব্যথিত হইয়া শোক করিতে লাগিলেন । জ