পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৮৯ তিনি সাধ্যানুসারে তাহার প্রার্থনানুরূপ সাহায্য করিতে কখনই পরাঙমুখ হইতেন না । মহারাজ "এইবাপে কিয়ৎকাল রাজ্য করিতেছেন, এদিকে কুমার শিবচন্দ্র রায় বয়ঃপ্রাপ্তি সহকারে স্বনামা রূপ গুণ ভূষণে ভূষিত হইয়া উঠিলেন, রাজা তাহাকে অত্যন্ত প্রীতি করিতে লাগি- ' লেন, তিনিও পিতার প্রিয়কাৰ্য সম্পাদন পুৰ্ব্বক আজ্ঞানুবন্ত্ৰী হইয় চলিলেন । মহারাজ মনে মনে বিবেচনা করিলেন, যে শিবচন্দ্রের প্রতি রাজকাৰ্য্যের ভরাপণ করিয়া জীবনের অবশিষ্ট কাল জাপন সৃজন কৰ্ত্তী জগদীশ্বরের তারথনীয় যাপন করাই কৰ্ত্তব্য হইয়ছে । স্বথন রাজার এইট স্তির সিদ্ধান্ত হইল, তখন তিনি শিবচন্দ্রকে ডাকিয় কহিলেন, আমি মনে করিয়াছি যে, তোমাদের কোন ভ্রাতার প্রতি সমস্ত রাজ কার্নোর ভারাপণ করিয়! জীবনের শেষাংশ ঈশ্বর উপাসনায় ক্ষেপণ করিব । অতএব আমি কল্য প্রাতঃকালে কম্পতরু ব্রত অবলম্বন করিব, তৎকালে আমার নিকট যে যাহা যাচঞ করিবেক, আমি তাহাকে তাহাই অপর্ণ করিব। এই গুপ্ত বাৰ্ত্ত পাইয়া শিবচন্দ্র মনে মনে অত্যন্ত আtনন্দিত হইয় গমন করিলেন। পর দিন প্রাতঃকালে অতীব প্রত্যুষে উঠিয়৷ ৰুদ্ধ রাজার শয়নাগারের দ্বার দেশে গিয়া দণ্ডায়মান থাকিলেন ;