পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯০ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিস্ত । রাজা শয্য হইতে গাত্রোথন পুৰ্ব্বক গৃহের বহির্গত হইয়। শিবচন্দ্রকে দ্বার দেশে দণ্ডায়মান দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি প্রার্থনা কর ? তাহাতে তিনি উত্তর করিলেন মহারাজ ! আমাকে সমুদয় রাজত্ব প্রদান করিতে আজ্ঞা হয় । মহারাজ তথাস্তু বলিয়। শিবচন্দ্রকে সমৃদয় রাজ্য সম্পত্তি অপর্ণ করিলেন । এই ঘটনাতে রাজ্য শুদ্ধ সমুদয় লোক জানিল যে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় কপতরু হইয় আপনার সমস্ত রাজ্য প্রিয়পুত্র শিবচন্দ্রকে অপর্ণ করিয়। বৈরাগ্যধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছেন । এই ঘটনাস্থত্রে রাজপরিবার মধ্যে মহা বিবাদ উপস্থিত হইল, এবং মহারাজার দ্বিতীয় পক্ষের পুত্ৰ শম্ভ চন্দ্র পৃথক হইয়। কৃষ্ণনগর রাজধানী হইতে হরধানে গিয়া বাস করিলেন। অদ্যাপি সে স্থানে তাহার পরিবারের বাস করিতে ছেন । যুবরাজ শিবচন্দ্র রাজ্যাভিষিক্ত হইয়া কিয়ৎকাল রাজা করিলে পর, ৱদ্ধ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাহাদুরের পরলোক প্রাপ্তি হইল । মহারাজ শিবচন্দ রায় নিয়মিত কার্য্যন্তরে কলিকাতায় আসিয়া বড় সাহেবের নিকট সাক্ষাৎ করিলেন । সাহেব অনুগ্রহ করিয়া যথেষ্ট মর্যাদি। পূৰ্ব্বক অধিকারের প্রতুল করিয় রাজকে বিদায় করিয়া দিলেন ।