পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজার উচ্চ মনোবৃত্তি ৩৭ করিয়াছেন। ত্যাগের মহিমা—এইরূপ সুন্দর ত্যাগের গৌরব এতই উজ্জ্বল । মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্রের শুধু দানের কথা লিখিলেই এতদপেক্ষ একখানি বৃহত্তর গ্রন্থ সম্পাদিত হইতে পারে। জমীদারী বা ভূসম্পত্তি অর্জন করিলে, সাধারণতঃ দেখা যায় লোকে প্রথমে আপনার এবং তৎপর নিজ পরিপারের সুখ সন্তোষ বৃদ্ধির বিধান করে। তখন বাহিরের জগতের কথা লোকের স্মরণ হয় না অথবা হইলেও বাহিরের কথা অন্তরকে তেমন আঘাত দিয়া কাদাইতে বা টলাইতে পারে না । মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্রের ক্ষেত্রে ঠিক তাহার বিপরীত ঘটনা সংঘটিত হইয়াছিল। মহারাজা মাতুল সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হইয়া প্রথম যে দিন চক্ষু মেলিয়া চাহিলেন তখনই দেখিলেন, নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজন অপেক্ষা সমষ্টিগত ভাবে সমাজের অর্থের অনেক বেশী প্রয়োজন । এই চিন্তাধারা হইতেই তাহার দানশীলতার জন্ম হয় । কৰ্ম্মজীবনের বৈচিত্র। তাহার চরিত্র প্রসঙ্গে কোন মাসিকপত্র লিখিয়াছেন “সুদীর্ঘ কৰ্ম্ম-জীবন যাপন করিয়া বৃদ্ধ-বয়সেই তিনি দেহত্যাগ করিয়াছেন ; কিন্তু র্তাহার মৃত্যু আমাদের নিকট নিতান্ত অকাল-মৃত্যু বলিয়াই মনে হইতেছে । ‘অকাল বলিতেছি এই জন্ত— ভারতীয় সাধনার নামে যে প্রতিষ্ঠানের সহিত তিনি এই সৰ্ব্বশেষ নিজেকে সংশ্লিষ্ট করিয়াছিলেন, তাহা আতি শৈশব 4