পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਟੋਡ਼ੋਟੋਡ਼ ডচ চমলেণহভি কাশিমবাজারের ন্যায় এরূপ বিস্তৃত জমিদারী বাংলাদেশের অন্য কোন জমীদারের নাই । ইহার বর্তমান বার্ষিক আয় আনুমানিক আঠার লক্ষ টাকা । ব্যয়ের পরিমাণ করা যায় না, সম্পত্তির আয় অনুযায়ী ব্যয় করিলে মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র স্বকীয় সম্পত্তির আয় চতুগুণ বৃদ্ধি করিতে পারিতেন কিন্তু ইহজীবনে তিনি আয় বুঝিয়া ব্যয় করিতে পারেন নাই । দরিদ্রের দুঃখের কাছে সম্পত্তির আয়ের মূল্য অতি তুচ্ছ— তিনি র্তাহার প্রভূত ধন দরিদ্রের জন্য নিয়োগ করিয়া রাখিয়াছিলেন–র্তাহার মনে ছিল শুধু পরদুঃখ কাতরতা এবং চক্ষের সম্মুখে ছিল দরিদ্র, আৰ্ত্ত, অসহায় অশিক্ষিত। আর কিছু র্তাহার দেখিবার ছিল না, আর কিছু র্তাহার চিন্তা করিবারও ছিল না। যে বিরাট সম্পত্তি পরোপকার ও নিরাশ্রয়ের জীবন রক্ষারূপ । মহৎকার্য্যের পুরস্কার, যে বংশ বিপন্নকে উদ্ধার করিয়া জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে, সেই সম্পত্তি ও সেই বংশের উত্তরাধিকারী যে পরের জন্যই, একথা বিশেষ করিয়া বুঝাইবার কোন, প্রয়োজন নাই। মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র যে বংশের উত্তরাধীকার লাভ করিয়াছিলেন নিজের অত্যুচ্চ মনোরম মনোবৃত্তি দ্বারা সেইবংশের সকলকেই মান করিয়া স্বীয় গৌরব প্রতিষ্ঠা