পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্য চরিত্রং.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্য চিরত্র"। 8 (? রাঙ্গ রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাস সপরিবারে পলায়ন করিয়া কলিকাতায় গিয়া রহিয়াছেন শুনিৰামাত্র অতিক্রোধাম্বিত হইয়া মহারাজ মহেন্দ্রকে অজ্ঞা করিলেন। কলিকাতার কোঠীর বড় সাহেবকে পত্র লিথ যে আমার চাকর রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাস এখানহইতে পলায়ন করিয়া আপনকার নিকটে আছে তাহারদিগের দুই জনকে বন্ধন করিয়া অমার নিকটে শীঘু পাঠাইবে । মহারাজ মহেন্দ্র নবাব সাহেবের অজ্ঞা শুনিয়া নিঃশব্দে রহিলেন ক্ষণেকের পর নিবেদন করিলেন যে আজ্ঞ তাহাই লিখিতেছি কিন্তু এক নিবেদন আছে নবাব কহিলেন কি কলিকাতার কোঠীর যে বড় সাহেব আছেন তাহারদিগের জাতির এক নিয়ম আছে যদি কেহ শরণাগত হয় তাহার জন্যে আপনার প্রাণ দিলেও যদি সে রক্ষা পায় তাহাও করেন এ কেবল তাহারদিগের নিয়ম নহে সকলেরি শাস্ত্রে এই মত শরণাগত ত্যাগ করিলে অধৰ্ম্ম কিন্তু বিশেষ তাহারদিগের পণ প্রাণ থাকিতে শরণাগত ত্যাগ করেন না। অতএব নিবেদন করি কিঞ্চি, কালের জন্যে রাজবল্লভ কলিকাতায় থাকুন পশ্চাৎ কৌশলক্রমে আমি তাহাকে আনিতেছি হঠাৎ এমত লিখন যদি আপনি লিখেন আর কোঠীর বড় সাহেব রাজবল্লভকে ত্যাগ না করেন তবে বিবাদ উপস্থিত হইৰেক । তাছাতে যেরূপ কাৰ্য্য করিতে আজ্ঞা করেন সেই মত কাৰ্য্য করি। নবাব স্তুনিয়া অধিক ক্রোধ করিয়া কহিলেন এখনি কোঠীর বড় সাহেবকে লিখ। পরে মহারাজ মহেন্দ্র মুনসি লোককে পত্র লিখিতে আজ্ঞা করিয়া দিলেন পত্রের বিবরণ এই। আত্ম মঙ্গল সম্বাদ লিখিয়া লিখিলেন আমার চাকর রাজা রাজবল্লভ ও রাজা কৃষ্ণদাস এখানহইতে পলায়ন করিয়া আপনকার নিকটে রহিয়াছে। অতএব ভাইঞ্জী