ぐり り মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্য চরিত্র^। পিতৃসেবাতেই মনোযোগ এইরূপে বহুকাল যায়। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের ঈশ্বরপ্রাপ্তি হইল। মহারাজ শিবচন্দ্র রায় নিয়মমতে ক্রিয়ানন্তরে কলিকাতায় আসিয়া বড় সাহেবের নিকট সাক্ষাৎ করিলেন । স{হেবলোক অনুগ্রহ করিয়া যথেষ্ট মর্য্যাদাপূৰ্ব্বক অধিকা রের প্রতুলমতে রাজ্যে বিদায় করিয়া দিলেন। রাজা শিবচন্দ্র রায় নিজ রাজ্যে গমন করিয়া যাবদীয় প্রধানং পত্র মিত্রগণকে আহ্বান করিয়া আজ্ঞা করিলেন তোমরা অনেক কালের মন্ত্রী আমার পূৰ্ব্ব পুরুষ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রাদি মহাশয়ের যেমন রাজনীতি কৰ্ম্ম করিয়াছেন সেইমত আমাকেও তোমরা মন্ত্রণ দিব| আমিও সেইমত কার্য্য করিব । এই বাক্য পাত্র মিত্ৰগণের শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয় নিবেদন করিলেন মহারাজ আপনি মহামহোপাধ্যায় সৰ্ব্বশাস্ত্রে পণ্ডিত মহাশয়কে মন্ত্রণ দিবার অপেক্ষ নাই তবে যখন যে স্মরণ করাণ তাহ নিবেদন করিব । পাত্র মিত্ৰগণের বাক্যে রাজা শিবচন্দ্র রায় অত্যন্ত হৃষ্ট হইয় রাজপ্রসাদ দিয়া সকলের সম্মান করিলেন এইরূপে পরম সুথেরাজ্য করেন . কিঞ্চিৎকালের পর মহারাজ শিবচন্দ্র রায় মনোমধ্যে বিবেচনা করিতেছেন পূৰ্ব্বে যে সকল মহারাজারা আমারদিগের ব^শে ছিলেন তাহারা অশেষ প্রকার পুণ্য কৰ্ম্ম করিয়া দেশ দেশান্তরে খ্যাত্যাপন্ন হইয়াছেন অতএব আমিও সেই মতাচরণ করিব ইহাই স্থির করিলেন। কিঞ্চিৎ গৌণে নবদ্বীপহইতে প্রধানং পণ্ডিতগণকে আস্থান করিয়া কহিলেন আমার ইচ্ছা যে মহতী ঘটা করিয়া একটা যজ্ঞ করি অতএব আপনার বিবেচনা করিয়া আজ্ঞা
