মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ন চরিত্র"। ७१ করুন কি যজ্ঞ করিব। পণ্ডিতবর্গের কহিলেন মহারাজ লোম যাগ করুন। মহারাজ শিবচন্দ্র রায় পণ্ডিতেরদিগের বাক্যে উত্তম যজ্ঞ করুণানন্তর বহুবিধ দান করিয়া ঈশ্বরে মনোপর্ণপূৰ্ব্বক লোকান্তরে গমন করিলেন। মহারাজ শিবচন্দ্র রায়ের এক পুত্র ঈশ্বরচন্দ্র রায় কিছু দিনানন্তরে ঈশ্বরচন্দ্র রায় মহাশয় নবদ্বীপের রাজা হইলেন। পূর্বের যে সকল মন্ত্রির ছিলেন সে সকল মন্ত্রির দিগেরও লোকান্তর হইয়াছে উপযুক্ত মনুষ্য-ন পাইয় অত্যন্ত উদ্বিগ্নচিন্তু দিন রাজ্যের ক্ষীণত এবং নানা প্রকারে অর্থব্যয় এই প্রকারে কতক কাল রাজ্য করিলেন । ইহার পুত্র গিরীশচন্দ্র রায়। মহারাজ ঈশ্বরচন্দ্র রায় কল্পতরুর ন্যায় দাতা এবং ঈশ্বরে সর্বদ মন ও বহুবিধ দান করিয়া লোকান্তর গমন করিলেন। পরে গিরীশচন্দ্র রায় মহাশয়কে সাহেব লোক সকলে যথেষ্ট অনুগ্রহ করেন এইক্ষণে তিনিই নবদ্বীপের রাজত্ব করিতেছেন কিন্তু রাজ্যের অনেক ক্ষীণত হইয়াছে তথাপি পূৰ্ব্বের মহারাজারা যেমত ব্যবহার করিয়াছিলেন সেইমত আচরণ করিতেছেন। মহারাজ গিরীশচন্দ্র রাষ্ট্র অত্যন্ত দাতা যাচক জনকে কদাচ বিমুগ্ধ করেন না এইরূপে রাজ্য করিতে আরম্ভ করিয়াছেন " পুৰ্ব্বং মন্থীরাজারদি গের যে সকল কৃত তাহার যেরূপ বায়ু ছিল এখন যে রাজ্যের নূ্যনত হইয়াছে তথাপি সে সকল ব্যয়ের নূ্যনত নাই এবং পূৰ্ব্বে যেমতং রাজনীতি ছিল এখনও সেই মতাচরণ করিতেছে যাৰদীয় বিশিষ্ট পণ্ডিতবর্গের আগ মন করিলে যথেষ্ট সম্মান করেন এব^ অশেষ প্রকারে
