পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৫৮

রাজা ছিলেন সর্ব্বদা মৃগয়া করিতেন। এক দিবস দণ্ডী রাজা মৃগয়াতে গমন করিলেন এক বনের মধ্যে গমন করিয়া মৃগয়া করিতেছেন। ইতিমধ্যে এক অশ্বিনী দেখিলেন অত্যন্ত চঞ্চল গতি এবং আশ্চর্য্য মূর্ত্তি অশ্বিনীকে দেখিয়া রাজা অতিশয় হৃষ্ট হইয়া সকল সৈনকে কহিলেন এই আশ্বিনীকে ধর। রাজাজ্ঞা পাইয়া সকল সৈন্য অশ্বিনীকে ধরিলেক। দণ্ডী রাজা অশ্বিনীকে লইয়া আত্মরাজ্যে আসিলেন। আশ্বিনী দিবসে ঘোটকী রাত্রে এক অপূর্ব্বা সুন্দরী কন্যা হয় ইহাতে দণ্ডী রাজার বড় আশ্চর্য্য বোধ হইল। এই রূপে কিছু কাল যায় এক দিবস রজনীতে সেই কন্যাকে দণ্ডী রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কে আমাকে সত্য কহ। তখন সেই কন্যা কহিলেন আমি স্বর্গের নৃত্যকী ছিলাম এক দিবস ইন্দ্রের নিকটে নৃত্য করিতেছি অন্যমনস্কা হইলাম ইহাতেই তাল ভঙ্গ হইল। তাল ভঙ্গ হওনে ইন্দ্র উষ্মা করিয়া কহিলেন যেমন তুমি মন্দ নৃত্য করিলা অতএব অশ্বিনী হইয়া সর্ব্বদা বন মধ্যে নৃত্য কর গিয়া। পরে আমি ইন্দ্রকে বহুবিধ স্তব করিলাম। পরে ইন্দ্র কিঞ্চিৎ তুষ্ট হইয়া কহিলেন তুমি রজনীতে কন্যা হইবা এবং দণ্ডী রাজা তোমাকে ধরিবেক তার পর মুক্ত হইয়া আমার নিকটে আসিবা। ইহা শুনিয়া দণ্ডী রাজা যত্ন পূর্ব্বক অশ্বিনীকে রাখেন। এক দিবস শ্রীকৃষ্ণ আপন আলয়হইতে শ্রবণ করিলেন যে দণ্ডী রাজা এক অপূর্ব্বা অশ্বিনী পাইয়াছে সেই অশ্বিনী চাহিলেন দণ্ডী রাজা সে অশ্বিনী