পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २8१ ) বারীর আঘাতে হাসনউদিনের বলিষ্ঠ দেহ হইতে মস্তক বিচ্ছিন্ন করিয়া ফেলিল (১)। - অবিলম্বে এই লোমহর্ষণ ঘটনা নগর মধ্যে রাষ্ট হইলে সকলেই মনে করিল রাজকীয় আদেশ বাতীত কদাচ এরূপ গুরুতর কার্য্য সংঘটিত ছয় নাই, সুতরাং কেহই ঐ সময় অগ্রসর হইয়। ইহার প্রতিবিধান করিতে সাহস করিল না । পর দিন প্রভাত সময়ে নিবাইসের প্রেরিত লোক মহম্মদ সাদকের অনুসরণে ঢাকায় পদার্পণ করিলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হইল। এইক্ষণে নগরবাসিগণ সৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়া আগাবাথরের গৃহ অবরুদ্ধ করিল। পাপিষ্ঠ আগবাখর পুত্র ও অনুচরবর্গের সচিত গৃহাভ্যস্তরে অবস্থান করিতেছিল ; রাজকীয় সৈন্ত উপস্থিত হইলে পিতা ও পুত্র গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া শক্রপক্ষের সম্মুখীন হইল। মহম্মদ সাদক কতিপয় অনুচর সহ শত্ৰু-সৈন্তের বৃহ ভেদ করিয়া পলায়ন করিল ; কিন্তু আগাবাথর অবশিষ্ট অমুচরবর্গসহ ঐ যুদ্ধে নিধন প্রাপ্ত হইল (২) । (১) সুলেখক শ্ৰীযুক্ত বাবু যতীন্দ্রনাথ সেন বলেন যে, তিনি চাকনিবাসী সৈয়দ আহম্মদ রেজা সাহেব হইতে অবগত হইয়াছেন, হাসনউদ্দিন খা নিহত হওয়ার প্রাক্কালে একমনে কোরাণপাঠে নিযুক্ত ছিলেন । ঢাকার ভূতপূৰ্ব্ব নবাব সুপ্রসিদ্ধ নজরতজঙ্গ বাহাদুরের পুস্তকালয়ে এক কোরাণ বিদ্যমান আছে। ঐ কোরাণের এক পৃষ্ঠা রক্তে রঞ্জিত। সৈয়দ আহম্মদ রেজা সাহেব যতীন্দ্র বাবুকে ঐ পৃষ্ঠা দেখাইয়। বলিয়াছেন যে, হাসনউদ্দিন খা যে সময় নিহত হন তৎকালে তিনি ঐ পৃষ্ঠাই পাঠ করিতেছিলেন এবং তাহারই রক্তে উহা ঐরাপ রঞ্জিত হইয়াছে । কিন্তু বেতরেজ সাহেবকৃত বাখরগঞ্জের ইতিহাসে লিখিত আছে যে তিনি ঐ সময় নিদ্রাথত ছিলেন । (R) History of Backergunge by Beveridge, Pages 43 to 46.