পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २०e ) আলি গহুর কৰ্ম্মনাশা পার হইয়া আজিমাবাদের প্রাস্তভাগে উপনীত হইলে সংবাদ আসিল যে, সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর ইহধাম পরিত্যাগ করিয়াছেন । এ সংবাদ প্রাপ্তিমাত্র তিনি এক সিংহাসন প্রস্তুত করিলেন এবং সাহ আলম নাম ধারণ পূর্বক ঐ সিংহাসনে আরোহণ করিয়া, আপনাকে সৰ্ব্বসমক্ষে ভারতবর্ষের সম্রাটু বলিয়৷ তিনি ষষ্ঠ সংখ্যা নব্যভারতের ৭৮ পৃষ্ঠায় লিথিয়াছেন, “বোজরগ উমেদপুর পরগণ। সম্বন্ধে রাজবল্লভের অনেক কীৰ্ত্তি আছে। উত্তরকালে যখন রাজবল্লভ ঢাকার দেওয়ান হইয়াছিলেন, তখন প্রাচীন জমাওয়াশীল বাকি কাটিয়া ঐ পরগণার বাষিক পূসর রাজস্ব s৬৪৭ টাকা লিথিয়। বৃদ্ধিহারে তিনি ৬০০০ টাক। মাত্র প্রদান করিতেন। পরে যখন এই পরগণ তাহার হস্তচু্যত হইল, অমনি তাহার বার্ষিক রাজস্ব ৬০০০ টাকা হইতে ২০১২৭৪, টাকা হইয়াছিল। এইরূপ অনুচিত রাজস্ব বৃদ্ধি হইতে দশবৎসরও অতীত হয় নাই । “যপস-নিবাসী আনন্দনাথ বাবুর নিকট জ্ঞাত হইয়াছি, রাজবল্লভের জ্ঞাতি যপসানিবাসী লাল রামপ্রসাদ রায় বোজরগ উমেদপুর পরগণা ক্রয় করিয়াছিলেন । কিন্তু রাজবল্লভ চক্রান্ত করিয়া তাহাকে তল আঙুলাপুর ও অন্যান্য কয়েকখানি গ্রাম মাত্র দিয়া উক্ত পরগণাটি আত্মসাৎ করিয়ছেন।” কিরূপে বেজেরগ উমেদপুর পরগণা আগ বাগরের বিদ্রোহের পর বাজেয়াপ্ত হইয়। রাজবল্লভের শাসনে অপিত হয়, এবং কিরূপে ১৭৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে রাজবল্লভ এই পরগণার জমিদারী লাভ করেন, তাহ। এই অধ্যায়ে বর্ণনা করিয়া প্রমাণ উদ্ধত করা হইয়াছে। এস্থলে ঐ সমস্ত বিষয়ের পুনরুল্লেথ নিম্প্রয়োজন। কেলাস বাবু এ সম্বন্ধে যাহা যাহা লিথিয়াছেন তৎসমস্তই অমূলক । রাজবল্লভ যে পূৰ্ব্ব জমাওয়াশীল বাকি কটিয়া অধিক রাজস্বের স্থলে অল্পমাত্র ৪৬৪৭, টাকা লিখিয়া রাখিয়ছিলেন, এবং লোক ভুলানের নিমিত্ত বৃদ্ধিহারে ৬০•9 টাকা রাজস্ব প্রদান করিয়াছিলেন বলিয়া কৈলাস বাবু লিপিয়াছেন, তাহাও প্রকৃত অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রকৃত প্রস্তাবে ১৭২৮ খ্ৰীষ্টাব্দে এই জমিদারীর বার্ষিক স্থিত ৬• • •, টাক। ধার্য্য হইয়াছিল এবং ঐ সময় এই স্থিতের হারাহারীতে দেয় রাজস্বের পরিমাণ ৪৬৪৭, টাকা ধাৰ্য্য হইয়াছিল। কৈলাস বাবু রামকে রহিম বুঝাইয় লোকের ভ্রম উৎপাদনের চেষ্টা করিয়াছেন। এই পরগণার রাজস্ব কখনও ২০১২৭৪ টাকা ধাৰ্য্য হয় নাই। এই অধ্যায়ে বর্ণনা করা হইয়াছে যে, নানা কারণে জমিদারী অবস্থা উন্নত হইয়াছিল এবং জঙ্গলবুড়ি আবাদকারী তালুকদারগণ আবাদিভূমির পরিমাণ অনুসারে কর প্রদান কল্পিত । রাজবল্লভ ১৭৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এই পরগণ। জরীপ করিলে, ঐ সমস্ত তালুকদারগণ যে ভূমি