পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ রাজবল্লভ যে সমস্ত ভূসম্পত্তি রাখিয়া গিয়াছিলেন, তন্মধ্যে কান্তিকপুর মুজাবাদ এবং রাজনগর পরগণাই সমধিক প্রসিদ্ধ। বাখরগঞ্জ জিলার অন্তর্গত, পূৰ্ব্বকথিত বোজরগ উমেদপুর পরগণা এই রাজনগর জমিদারীর অন্ততুত ছিল। রাজবল্লভের মৃত্যুর পর রাজা গঙ্গাদাস পিতৃত্যক্ত ভূসম্পত্তির শাসন ংরক্ষণ কাৰ্য্যে নিযুক্ত ইলে, কান্তিকপুরের সুপ্রসিদ্ধ ভূম্যধিকারিগণ কাৰ্ত্তিকপুর মুজাবাদ পরগণা বলপূৰ্ব্বক অধিকার করেন। এ দিকে কোম্পানির কৰ্ম্মচারিবর্গ রাজবল্লভের অধিকারমধ্যে প্রবেশ করিয়ু নানাপ্রকার অত্যাচার করিতে আরম্ভ করে। পূৰ্ব্বে বোজরগ উমেদপুর পরগণায় ডবিন নামক জনৈক ইংরেজ দুইটি মাত্র কুঠ সংস্থাপন করিয়াছিলেন। রাজবল্লভের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই উক্ত সাহেব অকুতোভয় হইয়া, ঐ পরগণার বিভিন্ন অংশে বহুসংখ্যক কুঠ সংস্থাপন করেন। ঐ সমস্ত কুঠা-সংশ্লিষ্ট লোকের নিঃসঙ্কোচে অধিবাসি প্রজাবর্গের কুলবালাগণের সতীত্ব অপহরণ করিত। কুঠার অধ্যক্ষগণ প্রজাবর্গের অধিকারে যে কোন বৃক্ষ দেখিতে পাইতেন, তৎসমস্তই বিনামূল্যে আত্মদাং করিতেন, এবং দেশীয় বণিকূসম্প্রদায় হইতে পণ্য দ্রব্য ক্রয় করিয়া, উপযুক্ত মূল্যের অৰ্দ্ধাংশ পৰ্য্যন্তও প্রদান করা আবস্তৃক মনে করিতেন না। কেহ এই সমস্ত অত্যাচারকাহিনী কর্তৃপক্ষের কর্ণগোচর করিলে তাহার আর নিস্তার ছিল না। প্রজাগণের তাফালে (১) যে কিছু লবণ উৎপন্ন হইত, তৎসমস্তই ঐ (১) লবণ প্রস্তুতের বহুমুখযুক্ত চুল্লী ।