পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NòR জীবন-চরিত । তখন কলেজের অনেক ছাত্র অপেক্ষাকৃত নীচ জাতীয় বালকদিগের প্রতি অবজ্ঞা প্ৰদৰ্শন করিতেন । কিন্তু মধুসুদন, কখনও, কাহারও সঙ্গে সেরূপ ব্যাবহার করিতেন না । বাল্যাবস্থায় দাস, দাসী দিগকে তিনি অত্যন্ত মেহ করিতেন । পুৰস্কারের জন্য হউক বা অন্য কোন প্ৰয়োজনেই হউক, • তাহারা তাহাকেই আসিয়া অনুরোধ জানাই ত | প্ৰতিবাসিগণের মধ্যে কেহ তাহাকে কোন দুঃখ জানাইলে তিনি, সাধ্যানুসাবে, তাহা মোচন করিতে ক্ৰটা করতেন না । তিনি পিতা, মাতার আদরের ধন ছিলেন, সুতরাং তহবি কোন প্রার্থনাই অপূর্ণ থাকিত না । পূর্ণ বয়সে, নানা বিষয়ে, মধুসূদনের প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়াছিল ; কিন্তু শৈশবার্জিত অমায়িকতা, স্যু হৃদয়ত এবং পরদুঃখক তরতা প্ৰভৃতি গুণের কোনও পরিাবৰ্ত্তন ঘটে নাই । মধুসূদনেপ সাত বৎসর বয়সের সময়ে তাহার পিতা কলিকা তা সদর দেওয়ানী আদালতে ওকাল তীী করিতে আরম্ভ কবেন । তিনি, খিদিরপুবে একটা বাটী ক্রয় কািদয়া, সেখানে অবস্থান করিতেন । আর মধুসূদনের জননী, পুত্রকে লঙ্গয়া, সাগর দাড়ীৰ বাটতে থাকিতেন । মধুসুদন, মা তার নিকট থাকিয়া, গ্রামস্থ পাঠশালী {য় অধ্যয়ন আরম্ভ করেন । পৃথিবীতে র্যাহাবা প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিয়া গিয়াছেন, দেখিতে পাওযা যায়, “ তাহাদিগেদী মধ্যে অনেকেবই । শৈশবে তাহাদিগের ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বািধ লক্ষণ সুচিত হতীয়ছিল । বালক নেপোলিয়নের এবং শিশু মিল অথবা মেকলে প্রভৃতির কথা অনেকেরই পরিচিত। আমাদিগের দেশেও দৃষ্টান্তের অভাব নাই। প্ৰবাদ আছে, বিজ্ঞানপ্রিয়, তীক্ষুধী। অক্ষয়কুমার দত্ত, পাঠশালায় ভূমিপরিমাণ শিখিবার সময়ে, জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন ; “পৃথিবী কান্ত বড় ? পৃথিবীর কি পরিমাণ করা যায় না ?” অসাধারণ তিভাবান বঙ্কিমচন্দ্ৰ, প্ৰথম বর্ণশিক্ষার দিনেই, সমস্ত বর্ণমালা অভ্যাস বিদ্যারম্ভ । マラ