>W。 ङौदन-5ख्रिड | বরদার দয়াসম ? হাত বুলাইলে, জননী, বাথিত দেহে, কোথা ব্যথা থাকে ? একথা তোমার কাছে অবিদিত নহে ।” * সংসার-যন্ত্রণায় নিপীড়িত হৃদয় যে বাগেদবীর “করপদ্মম্পর্শে” সমস্ত যন্ত্রণা বিস্মৃত হইতে পারে, মধুসুদন আত্ম-জীবনে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন । মধুসুদন বহু ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন এবং বহু গ্ৰন্থ পাঠ করিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহার সমস্ত শিক্ষার ও অপায়নের নিষ্কৰ্য, তাহার কাবানুব্যক্তি । নানাদেশীয় কাব্য-শাস্ত্রের অনুশীলনে তাহার সমকক্ষ কোন ব্যক্তি, বঙ্গদেশে, বোধ হয়, এ পৰ্যন্ত জন্মগ্রহণ কবেন। নাই । তাহাদ জীবনের অন্যান্য অনেক গুণে বা নায় এই কাবানুবােগও কাবানুবক্তি-রামায়ণ ও মহাভারত পাঠে অনুরাগ । r ऊँ। श्ाद डीमनीन 0ील त्रु भिक श् তে পরিবদ্ধি ত হইয়াছিল । সে সময় স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে বিদ। শিক্ষাব্দ বড় প্ৰচলন ছিল না । কিন্তু জাকুবীদাসী, তৎকালেও, লেখা পড়া শিক্ষা কবিয়ছিলেন । তিনি রামায়ণ, মহাভারত, এবং কবিকঙ্কণ চণ্ডী প্ৰভৃতি বাঙ্গাল কাব্য সমূহ অতি যত্নের সহিত পাঠ করিতেন । তাহার স্মরণশক্তি আতি তীক্ষ্ণ ছিল, পঠিত গ্রন্থের অনেক অংশ তিনি মুখে, মুখে আবৃত্তি করিতে পারিতেন। মেধাবী মধুসূদন, আট দশ বৎসর ব্যসেব সময়ে, মা তাকে ও বাটীর অন্যান। প্ৰাচীন মহিলাদিগকে এই সকল গ্ৰন্থ পাঠ করিয়া শুনাইতেন এবং মাতার দৃষ্টান্ত অনুসারে তাহা কণ্ঠস্থ করিতেন। কোন সহৃদয় ব্যক্তি বলিয়াছেন, মনুষ্য মাতৃস্তনাদুগ্ধের সঙ্গে যাহা শিক্ষা করে, জীবনে কখনও তাহা বিস্মৃতি হইতে পারে না । মধুসূদনের জীবনে একথা অতি সুন্দরীরূপে প্ৰমাণিত হইয়াছে । বহু ভাষায় এবং বহু গ্রন্থে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াও, মাতৃ 秀
- মধুসূদনের অপ্রকাশিত কবিতা হইতে গৃহীত।
