পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 Sy জীবন-চরিত । মোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবাদ দিয়া আনাইয়া, তিনি অনেকক্ষণ অবধি তাহার সহিত ধৰ্ম্মালোচনা করিয়াছিলেন, এবং ভগবানের নিকট ক্ষমা প্ৰাৰ্থনা করিয়া বলিয়াছিলেন, “আমি সেই দিয়াময়ের করুণার উপর নির্ভর করিয়া মরিতেছি ; তিনি যে, পাপী, তাপীর উদ্ধারের জন্য, খ্ৰীষ্টকে পৃথিবীতে প্রেরণ করিয়াছিলেন, আমি ইহাতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি।” পঁৎসার কেবল কৰ্ম্মক্ষেত্র নয়, মানবাত্মার শিক্ষাক্ষেত্ৰ ! কেহ বালো, কেহ যৌবনে, কেহ সম্পদে, এবং কেহ বা বিপদে শিক্ষা লাভ করেন। রোগ, শোক এবং দরিদ্রতার কশাঘাত প্ৰাপ্ত না হইলে দুরন্ত মানব-সন্তানের চেতনা হয় না , যিনি যে দণ্ডের উপযুক্ত, বিশ্ববিধাতা তাহার প্রতি সেইরূপ দণ্ডবিধান করিয়া তাহাকে উদ্বোধিত করেন । ভগবানের দুরন্ত সন্তান মধুসুদন এতদিন তঁহাকে চিনিতে পারেন নাই ; তাই সেই ন্যায়বান প্ৰভু, স্বীয় দয়াগুণে, তঁহার প্রতি আতি কঠোর দণ্ড প্রয়োগ করিয়া, জীবনের শেষ মুহুর্তে, র্তাহার জ্ঞানচক্ষু উন্ময়ীলিত করিয়াছিলেন । আত্মকৃত কাৰ্য্যের অনিষ্টকারিত উপলব্ধি করিয়া, এবং যিনি ইহ পরকালের প্রভু তাহার চরণে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করিয়া, মধুসুদন যে পৃথিবীর শিক্ষাকাৰ্য সমাপ্ত করিয়াছেন, ইহা চিন্তা করিলে তাহার প্রথম জীবনের দুনীতির কথা আমাদিগের আর স্মরণ থাকে না । যে দিন তিনি পরলোক গমন করেন, সেই দিন প্ৰাতে তঁাহার ভ্রাতুপুত্র, স্বৰ্গীয় ত্ৰৈলোক্যমোহন দত্ত র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন। মধুসূদনের শরীর তখন অবসন্ন এবং বাঙানিস্পত্তির শক্তি তখন লুপ্ত প্ৰায় হইয়া আসিয়াছিল। তিনি ভ্রাতুষ্প ত্ৰকে বলিলেন, “ত্ৰৈলোক্যমোহন ! জীবনের কোনও আশা পূর্ণ হয় নাই, অনেক আক্ষেপ লইয়া মরিতেছি, এখন বলিবার শক্তি নাই। তুমি আর এক সময় আসিও, অনেক কথা বলিবার আছে, তোমায় বলিব ।” কিন্তু অস্তিম অপরাধ স্বীকার ও थांऍन ।