পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাপুরুষদিগের বিশেষত্ব রাজা বলিয়া নিজেকে খ্যাত করেন । কঁাটার মুকুট প্ৰস্তুত করিয়া র্তাহার মাথায় পরাইয়া উপহাস করিবার তাৎপৰ্য এই যে, “এটা কোথাকার ক্ষেপ, এর না আছে অন্ন, না আছে পরিধেয়, দীন-দুঃখী ভিক্ষুক, এ কিনা বলে যে, সে য়িহুদীদের রাজা- Messiah ?” পাগলকে যেরূপ লোকে উপহাস করে, পথের বালকে গায়ে ধূলা দেয়, সেইরূপ এই বিশুদ্ধ-চরিত্র ঈশ্বর-প্রেমিক সাধুপুরুষকে পথের লোকে উপহাস-বিদ্রুপ করিয়াছিল, পাগল বলিয়াছিল। কেবল যে যীশুকেই এইরূপ বলিয়াছিল, তাহা নহে। মহম্মদ যখন কাবাতে দণ্ডায়মান হইয়া উপাসনা করিয়াছিলেন, সাধারণ লোকে বলিয়াছিল, “মহম্মদ পাগল হইয়াছে, ক্ষেপেছোঁ।” তিনি যখন মূছ৷ প্ৰাপ্ত হইতেন, ভাবে অভিভূত হইয়া পড়িতেন, তখন লোকে বলিত, “মহম্মদ পাগল হইয়াছে।” জগতের বিষয়ী লোকেরা চিরকালই সাধুপুরুষদিগকে পাগল বলিয়া থাকে। কেন পাগল বলে ? আমরা দশ জনে যেরূপে চলিয়া থাকি, যেরূপে কারবার করিয়া থাকি, কেহ যদি তাহ-ছাড়া হয়, তাহা হইলেই তাহাকে পাগল বলে। এই মহাপুরুষদের জীবনে মানুষ এরূপ কিছু দেখিয়াছিল, যাহাতে র্তাহাদিগকে পাগল ভিন্ন আর কিছু বলা যায় না। নিজের সীমার বাহিরে যদি মানুষ কিছু দেখে, না বুঝিয়।। তাহাকে উন্মাদ বলে। প্ৰথমে যখন ব্ৰাহ্ম হইয়া পাড়াগায়ে গেলাম, গ্রামের চাষা লোকেরা আসিয়া বলিল, “এর বাই হয়েছে, একে ভূতে ধরেছে, একে মিছরির জল খাইতে দাও।” নূতন আলোক যাহা পাইয়াছি, গরিব চাষা তাহার কি বুঝিবে ? অতএব আমাদিগকে পাগল ভাবা তাহদের পক্ষে স্বাভাবিক, লোকে এইরূপই মনে করে । পৃথিবীর মহাজনাদিগকে জগতের লোকে তাই পাগল ভাবিয়াছিল। Y Y (t