পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্মের সম্ভাবনীয়তা হইয়াছে ; ভগীরথ কঠোর তপস্যার দ্বারা বিষ্ণুপদ হইতে এক ক্ষুদ্র জলধারা পৃথিবীতে আনয়ন করিয়াছিলেন, সেই জলধারা গঙ্গা নামে খ্যাত হইয়াছে। তেমনই আমরা বলিতে পারি, রামমোহন রায় কঠোর তপস্যার বলে ভগবানের চরণে হইতে এক ক্ষুদ্র ভক্তি নদী পৃথিবীতে আনিয়াছিলেন, এখন চারিদিক হইতে ভক্তি নদী-সকল আসিয়া তাহার সহিত মিলিত হইতেছে। ঐ দেখ, কত দিক হইতে কত স্রোতস্বিতী আসিয়া এই ভক্তিধারাতে মিশিয়া ইহাকে মহৎ ও উন্নত করিয়া তুলিতেছে। কাহাকেও ইহা বর্জন করে না। বর্জন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা বর্জন তত করিতে চাই না, যত গ্ৰহণ করিতে চাই । এটা ছাড়িতে হবে, ওটা ছাড়িতে হবে, এ ভােব আমাদের নয়। আদিম৷ খ্ৰীষ্টীয় মণ্ডলী যেমন মনে করিত, “আমরা ইহা মানি না, আমরা উহা মানি না,” আমাদের কিন্তু সে ভাবে এ ধর্মকে অবলম্বন করা উচিত নয়। বর্জন আমাদের প্রধান কাজ নয়, বরং এই কথাই ঠিক যে, গ্ৰহণ আমাদের প্রধান কাজ। বর্জন অপেক্ষা গ্ৰহণ আমাদের কাছে অধিক আদরণীয় হওয়া কর্তব্য । আমরা যেখানে, ষে কোন ও দেশে, যে কোনও সম্প্রদায়ে যা কিছু ভাল জিনিস পাইব, তাহা গ্ৰহণ করিব। মহাত্মা বুদ্ধের উক্তির মধ্যে যা কিছু ভাল জিনিস আছে, তাহা আমরা গ্ৰহণ করিব। চীন দেশের মহাত্মা কংফুচের যা কিছু ভাল কথা আছে, তা আমরা গ্ৰহণ করিব । প্ৰাচীন গ্রীস দেশে যে মহাত্মা সক্রেটিস জন্মিয়াছিলেন, তার যা ভাল কথা, তাও আমরা গ্ৰহণ করিব। আমরা পেটুকের মত সমুদয় জগতের ভাল জিনিস আহার করিব। আমরা পৃথিবীর ধর্মভাবের উত্তরাধিকারী হইয়া জন্মিয়াছি, সবল সাধুপুরুষ আমাদের পূর্বপুরুষ ; আমরা তঁহাদের সকলের উত্তরাধিকারী DBDBB DBDSS OBBD D LDDB KKB BDDS S\OS