পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ তবে এই জপ কর, “ত্যাগেনৈকেনামৃতত্বমানশু: ।” ঈশ্বরের নাম যতই করি।-না কেন, বার বার উপাসনাই করি।- না কেন, ত্যাগ, ত্যাগ, ত্যাগ ভিন্ন অমৃতত্ব পাওয়া যাইবে না । যিনি যে পরিমাণে স্বার্থনাশে প্ৰস্তুত, তিনি সেই পরিমাণে ধমলাভে ইচ্ছক, তিনি সেই পরিমাণে অমৃতত্ব লাভের অধিকারী ; নতুবা অমৃতত্ব পাওয়া যাইবে না। স্বার্থনাশের ভয়ে ভীত হইয়া বড বড় কথা ও বাহিরের সাধন মাতালের নৌকা চালাইবার মত, নৌকা বাধিয়া রাশিয়া সারা রাত্ৰি দাড়ি টানার মত বোধ হয়। ধমপ্রচার সম্বন্ধে ও সর্বদা এই কথা স্মরণ রাখিতে হইবে । প্ৰচাবের অর্থ কি ? “একমাত্ৰ ঈশ্বরই উপাস্য, তাহার উপাসনা ও প্রার্থনা করা উচিত, জাতিভেদ রাখিতে নাই।” ইত্যাদি কয়টা শুনানই কি প্রচার ? যদি এই প্রচার হয়, তবে তাহা কঠিন নয়, কিন্তু প্রচারের অর্থ যদি মানুষের মন পরিবর্তন করা হয়, ব্ৰাহ্ম হইয়া যাওয়া যদি স্বার্থপরের নিঃস্বাের্থ হওয়া ও বিষয়াসক্তের বিষয়াসক্তিশূন্য হওয়া হয়, তবে আপনার বলুন দেখি, কাজে তাহা হইতেছে কিনা। শিখধর্মের এত প্ৰতাপ হইল কেন ? শিখদিগেব দশম গুরু গোবিন্দসিংহ একবার শিখধর্মের উন্নতিচিন্তায় নির্জন পর্বতে ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন। কিছুদিন পরে আসিয়া সকল শিখকে সমবেত করিয়া উন্মুক্ত তরবারি হস্তে লইয়া বলিলেন, “দেবীর এই আদেশ হইয়াছেশিখধর্মের রক্ষার জন্য একশত মানুষের মাথা চাই । কে শির দিবে। এস, আমি এই তরবারিতে তাহার মাথা কাটিয়া দেবীর কাছে লইয়া যাইব ।” এই বলিয়া বারম্বার চীৎকার করিয়া ডাকিলেন, কিন্তু কেহই অগ্রসর হইল না। তখন গোবিন্দসিংহ বলিলেন, “আচ্ছা, একশত জন না হউক, পঞ্চাশ জনও এস।” তখনও কেহ অগ্রসর হইল না। তখন নিবাশ হইয়া গুরু গোবিন্দসিংহ o