পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ তাই বলি, স্বার্থনাশ না হইলে শক্তি জন্মে না । আমি অনেকদিন বসিয়া চিন্তা করিয়াছি, খ্ৰীষ্টধর্মের জয় কিরূপে হইল ? এ প্রশ্নের আজও আমার ভাল মীমাংসা হয় নাই। খ্ৰীষ্টধর্মের অভু্যদয়িকালে দেখিতে পাই, দুইটি প্রবল পরাক্রান্ত শক্তি ইহার প্রতিকুলে ছিল। এক গ্রীসের সভ্যতা, আর-এক রোমের রাজশক্তি। এত বড় দুইটি শক্তিকে কিসে পরাস্ত করিল ? শক্তি ভিন্ন শক্তিকে অন্য কিছু বাধা দিতে পারে না। BDD L D DDBD S BBBBS DD g DD BBBDuD LBBBDBD DB দিতে ও জয় করিতে সমর্থ হইয়াছে ? বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর কি নাই ? এই দেখিতে পাইবে, শ্ৰীষ্টের শিষ্যগণ নিঃস্বার্থতার মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়াছিলেন । তখন যে খ্ৰীষ্টান হইত, তাহাকেই যথাসর্বস্ব বিক্রয় করিয়া সাধারণ ধন্যভাণ্ডারে দিতে হইত। তাহার পর তাহারা এই নিঃস্বার্থতা পদে পদে দেখাইয়াছিলেন । প্রেরিতদিগের বিরুদ্ধে একবার অভিযোগ হয় যে, বিধবাদের সমুচিত পরিচর্য হইতেছে না। তঁহারা কি সে অভিযোগ শুনিয়া অভিমান করিলেন ? তাহারা কি বলিলেন, “কি, এত বড় আস্পর্ধা, যাহারা ঈশ্বরের প্রেরিত তাহদের নামে আবার অভিযোগ ?” তাহা করিলেন না, সমুদয় মণ্ডলীকে ডাকিয়া সমবেত করিলেন ; বলিলেন, “আমরা বাস্তবিকই এই কাজ করিতে পারিতেছি না । তোমরা লোক মনোনীত করিয়া দেও৷ ” এই কথা শুনিয়া সমুদায় অপ্রেম ও অভিযোগ নির্বাণ হইল। ইহাদিগের স্বার্থবিনাশ পদে পদে। ইহাতেই তা শক্তি জাগিয়া উঠিল। ব্ৰাহ্মসমাজ যে এতদিন জীবিত আছে তাহার কারণ কি ? তাহার কারণ কি এই যে, তুমি আমি ও আর দশজন বক্তৃতা ও উপদেশের দ্বারা ইহাকে রক্ষা করিতেছি? তাহা নয়। ষে দুই একজন লোক ইহার জন্য স্বাৰ্থত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহদের সেই ত্যাগের ফলেই ইহা এতদিন R