মাঘোৎসবের উপদেশ যেখানে পাপাচারীর সদম্ভে বেড়ায় না, যেখানে সাধুদিগেরই প্রভাব ব্যাপ্ত, যেখানে ধর্মাত্মাদিগের ধর্মভাবের দ্বারা সমগ্র সমাজ অনুপ্ৰাণিত। বিধাতার প্রতিষ্ঠিত নিয়মই এই, মানব-সমাজ এ প্রকারে গঠিত যে, কোনও সমাজে ধর্মাত্মাদিগের সংখ্যা অল্প হইলেও তঁহাদেরই ধর্মপ্ৰভাবের দ্বারা সমগ্ৰ সমাজ অনুপ্ৰাণিত হয় । আমাদিগের ও জগতের অন্যান্য সভ্য দেশের সমাজ-সকলের কার্যকলাপ, আন্দোলন ও পরিবর্তন সকল নিবিষ্ট চিত্তে আলোচনা করিলে দেখিতে পাই, অল্পসংখ্যক সাধুসাধবী নরনারী আপনাদিগের জীবনের দৃষ্টান্ত ও পরিশ্রমের দ্বারা সমগ্র জাতির অসাধুতা নিবারণ করিতেছেন, এবং এই প্রকারে সর্বদা সাধুতারই জয় প্ৰতিষ্ঠিত হইয়া আসিতেছে । আজ সকলে হৃদয় পরীক্ষা করিয়া দেখি, ধর্মলাভের জন্য স্বার্থনাশ করিবার শক্তি আছে কি না । ঈশ্বরের মহৎ কার্যের সহায়তার জন্য স্বার্থনাশ করিবার শক্তি কি হ্রাস হইতেছে ? যদি দেখা কমিতেছে, তবে জানিয়া রাখ, লবণত্ব গেল । যদি উচ্চ আদর্শ, মহৎ আশা, স্বার্থনাশের শক্তি, এই গুলি হৃদয়ে থাকে, যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস ও নির্ভর থাকে, তবেই জানিব, লবণত্ব আছে। নতুবা আমরা নিতান্ত অসার ও অপদার্থ, আমাদিগের কোনও প্রয়োজন নাই, আমরা লোকের পদে দলিত হইবারই উপযুক্ত । আমরা লবণত্ব মানুষকে দিব এ অহংকার করিতেছি না । আমার এই কথাগুলি শুনিয়া যদি কাহারও মনে আসে যে, আমরা খুব বড়, আমরা খুব মহৎ লোক, আমরা দেশকে লবণত্ব দিতেছি, তবে তাহাকে সাবধান করিয়া দিতেছি । এই লবণত্ব যদি আমাদিগের মধ্যে আসে, তবে আপনি তাহা এ দেশের নরনারীর মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়। যাইবে। আমরা সপ্তম স্বর্গের দেবতা, আমরা সুধা পান করিব, আর ঐ পাপীদের b〜8