পাতা:মানবজাতির স্বত্ব এবং দায়ীত্ব ও বাঙ্গালীজাতির সেই দায়ীত্ব পালন.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১২ ) যখন সকল ধৰ্ম্মের সকল লোকেরই মুক্তি আছে, তখন ধৰ্ম্মসম্বন্ধে মনুষ্য মাত্রকেই স্বাধীনতা দেওয়া ন্যাম্বুেব আদেশ । এখন খৃষ্টান পিতা মাতা, অতুড়ঘবেই জর্ডানেব জলে পুত্ৰ কন্যাকে পবিত্র কবিয়া তাহাদিগকে খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত কবেন । মুসলমান এবং হিন্দুজাতিও শৈশব হইতে পুত্র কন্যাদিগকে স্বীয় স্বীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত কৰেন। কিন্তু তাহ অন্যায । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যখন শিশুব কোন জ্ঞান নাই, তখন পিতামাত। তাহাকে ধৰ্ম্মশিক্ষণ দিতে বাধ্য, কিন্তু তাহাকে পিতামাতার ইচ্ছানুসাৰে দীক্ষিত কৰা অবশ্যই অন্যায়। পুত্র কন্য। জ্ঞানলাভ কৰিয়া, শিক্ষালাভ কবিয়া, যে ধৰ্ম্মে তাহাব বিশ্বাস জন্মিবে, সেই ধৰ্ম্মই তাহাকে অবলম্বন কাবতে দেওয়াই বিহিত । ঘোব' তান্ত্রিক—ঘোব শক্তেব পুত্র যদি বৈষ্ণৰ হইতে চার, হউক, তাহাকে বলপূর্বক তান্ত্রিক বা শক্তি কবা কি ন্যায়সঙ্গত ? খৃষ্টানের পুত্র যদি খৃষ্টকে ত্ৰাণকৰ্ত্তাব পরিবর্তে কেবল মহাপুরুষ জ্ঞান কবিয়া, কেবল একমাত্র ঈশ্বকে আত্ম সমর্পণ কবিতে চায়, তাহাকে তাছাই কবিতে দেওয়া বিহিত। এখনকার শিক্ষিত হিন্দু যুবক, যদি মাকালপূজা, বষ্টিপূজা, ঘেটুপূজ বা প্রতিমাপূজার নূতন রকমেব বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার তৃপ্ত না হইয়া, প্রাচীন মুনিঋষি-. দিগেব ন্যায় একমাত্র ঈশ্বরের পূজা করিতে চায়, তাহাঁই তাহাদিগকে কবিতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য। বিশ্বাসই ধর্মের মূল ভিত্তি,~ন্সটল বিশ্বাসেই মুক্তি। যাহার বাহাঁতে ৰিশ্বাস,