( ১১ ) কবিবে। তখন তাহার নিকট আর ভেদ কিছুই থাকিবে না । তখনই প্রকৃত সাম্যের পুজা হইবে । বৈষম্য কি তাছ তখন সে ভুলিযু যাইবে । তখন আত্মার দায়ীত্ব প্রকৃতরূপে পালিত হইবে। অনেকেই বলিতে পাবেন যে, সংসারির পক্ষে সেই তন্ময়দৃষ্টিজ্ঞান লাভ অসম্ভব । সেটা বড় ভূল । সকল আশ্রম অপেক্ষা সংসার আশ্রম সৰ্ব্বশ্রেষ্ট । সংসারাশ্রমে থাকিয়া মনুষ্য যেরূপ সকল দায়ীত্ব পালন করিতে পারে, সংসাববিরাগী যোগী যেরূপ কখনই পারেন না । তবে মানবজাতির বর্তমান অৱস্থা বেরূপ শোচনীয়, তাছাতে বৰ্ত্ত-, মানে সংসারে থাকিয়া সকলেব পক্ষে সেই জ্ঞানলাভ অব-শ্যইস্পস্থজসাধ্য নহে । আত্মাৰ সেই দায়ীত্ব পালনের ছুটী উপায়—ধৰ্ম্ম এবং নীতি । ঘূতি, ক্ষমা, দম, অস্তেয়, ইন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ প্রভৃত্তি ধৰ্ম্মেৰ কয়েকটা লক্ষণ এবং সত্য ও ন্যায়েব সম্মান রক্ষা, মিথ্যাকথা, পবদ্রব্য হৰণ, পবেব অনিষ্টসাধন গর্হিত প্রভৃতি যে কয়ট বিধান আছে, তাহা কেবল হিন্দুধৰ্ম্মে নহে, মুসলধৰ্ম্ম, খৃষ্টানৰৰ্ম্ম প্রভৃতি সকল ধৰ্ম্মেই দেখিতে পাই । ধৰ্ম্মের মৌলিক নীতি সকল ধর্মেরই এক, কেবল অনুষ্ঠান পদ্ধতি এবং ব্যবস্থ। বিভিন্ন। এখনকাব যে সকল পাশ্চাত্য পণ্ডিত, ঈশ্ববকে উড়াইয়া দিতেছেন, তাহারাও কোন এক ধৰ্ম্ম না মামুন, ধৰ্ম্মেব লক্ষণ এবং বিধিগুলি অন্ততঃ অলক্ষ্যে পালন कप्रिङ श्रृंोखु नुङ्न ।
পাতা:মানবজাতির স্বত্ব এবং দায়ীত্ব ও বাঙ্গালীজাতির সেই দায়ীত্ব পালন.pdf/১৫
অবয়ব