পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আট বনগাঁয়ে শ্যামার একে একে আরও চার বছর কাটিয়া গেল । কলিকাতার বাড়িটা তাহাকে বিক্রয় করিয়া দিতে হইয়াছে। মাট্রিকুলেশন পাশ করিয়া বিধান যখন কলিকাতায় পড়িতে গেল-শীতলের প্রত্যাবর্তনের এক বছর পর । শীতলের অসুখের জন্য অনেক টাকা খরচ করিতে না হইলে রাখাল হয়তো শেষ পৰ্যন্ত বিধানের পড়ার খরচ দিতে রাজী হইত। বড় খারাপ অসুখ হইয়াছিল শীতলের। বেশী জ্বর, অনাহার, দারুণ শীতে উপযুক্ত আবরণের অভাব, মানসিক পীড়া, এই সব মিলিয়া শীতলের স্বায়ুরোগ জন্মাইয়া গিয়াছিল, দেহেরে সমস্ত স্বায়ু তাহার উঠিয়াছিল ফুলিয়া। চিকিৎসার জন্য তাহাকে কলিকাতা লইয়া যাইতে হইয়াছিল। তিনমাস সে পড়িয়া ছিল হাসপাতালে। তারপর শ্যামার কঁাদা-কাটায় রাখাল আরও তিনমাস তাহার বৈদ্যুতিক চিকিৎসা চালাইয়াছিল। তার ফলে যতদূর সুস্থ হওয়া সম্ভব শীতল তো হইয়াছে। কিন্তু জীবনে সে যে কাজকর্ম কিছু করিতে পরিবে সে ভরসা আর নাই। যতখানি তাহার অক্ষমতা নয়, ভান করে সে তার চেয়ে বেশি। শুইয়া বসিয়া অলস অকৰ্মণ্য দায়িত্বহীন জীবন যাপনের সুখটা টের পাইয়া হয়তো সে মুগ্ধ হইয়াছে। হয়তো সে সত্যই বিশ্বাস করে দারুণ সে অসুস্থ, কৰ্মজীবনের তাহার অবসান হইয়াছে। হয়তো সে হিষ্টিরিয়াগ্ৰস্থ, অসুখের অজুহাতে সকলের দয়া ও সহানুভূতি, মমতা ও সেবা লাভ করার চেয়ে বড় আর তার কাছে কিছুই নাই। তবে সবটা শীতলের ফাকি নয়, শরীরে তাহার গোলমাল আছে, মাথাটা ভোতা হইয়া যাওয়াও কাল্পনিক নয়, অসুখের যে বাড়াবাড়ি ভানটুকু সে করে তার ভিত্তিও তো মানসিক রোগ। তবু ছেলের পড়া চালানোর জন্য বাড়িটা শ্যামার হয়তো বিক্রয় করিতে হইত না, যদি বাচিয়া থাকিত হারান ডাক্তার। বিধানকে হারানের বাড়ি পাঠাইয়া সে লিখিত, বাবা, জীবনপাত করে ওর স্কুলের পড়া সাঙ্গ করেছি, আর তো আমার সাধ্য নেই, এবার দিন বাবা ওর আপনি কলেজে পড়ার একটা ব্যবস্থা BDS E Y DSS S HD DBDBD DD DSS SDD DBDBB S BDBB