পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qቕ সহরতলীর রূপান্তর গ্রহণের প্রক্রিয়া দিন-দিন দ্রুততর হইয়া উঠে । অদ্ভুত ব্যাপার কিছু নয়, তবু আশ্চৰ্য মনে হয়। মাটির বাসন যেন দেখিতে দেখিতে কৃত্রিম ধাতুতে দাড়াইয়া যাইতেছে আর চাকচিক্য বাড়িতেছে প্ৰতিদিন । কত এবড়ো-খেবড়ে রান্ত নূতন পিচের আবরণে গা ঢাকিয়া ঝাকৃ-ঝাঁক করিতেছে, DD DDD DBD DBBD DBD LDBBD DBDDD B DBBDB BDBBDBk0LS DBD S BB পথের গায়ে আঁটা হইয়া যাইতেছে জমকালো নাম। চারিদিকে বাড়ী উঠিতেছে অসংখ্য। ফাকে ফঁাকে ছড়ানো সেকেলে ধরণের সাদাসিদে একতলা দোতলা অনেক বাড়ী অদৃশ্য হইয়া সেখানে দেখা দিতেছে আধুনিক ফ্যাসানের বাড়ী-শুধু গঠনের মধ্যেই কত কায়দা। এ অঞ্চলে ছোট বড় সব বাড়ীরই প্রায় আকার ছিল চারকোণা বাকুসের মত, এখন বাড়ীগুলি হইয়াছে ইট-কাঠ-চুণ-সুরকি-সিমেন্ট-লোহার জ্যামিতি। অস্বাভাবিক রূপলাবণ্যের অপ্রত্যাশিত আঘাতে বাড়ীগুলি যেন দৃষ্টিকে পীড়া দেয়। শিল্পী ভাস্কর কি মিস্ত্রীর কাজ আরম্ভ করিয়াছে, তাই তাল সামলানো যাইতেছে না ? দোকানপাটের সংখ্যাও হু-হু করিয়া বাড়িয়া যাইতেছে, পুৱানো দোকানের চেহারাও বদলাইয়া যাইতেছে। ছোট ছোট কত পুরানো দোকান যে উঠিয়া গেল।-ছোট অপরিচ্ছন্ন ঘরে এলোমেলোভাবে জিনিষ সাজাইয়া এতদিন যাদের কাছে মাল বিক্ৰী করা চলিত তাদের অনেকেই তো নাই, নূতন যারা আসিয়াছে তারা ছবির মত সাজানো দোকান চায় । DD DBDB BBDBD DDBBBD BB DBDBBD BDBBD DDDBD DB DB EE দু’দিকের দোকানের আলোতেই রাস্তাটি এমন ঝলমল করে যে, রাস্তার আলো রাত বারোটা পৰ্য্যন্ত নিভাইয়া রাখিলেও চলে। বাজারের সংস্কার হইয়াছে। এলোমেলোভাবে যেখানে সেখানে কেউ আর মাছ তারকারী বেচিতে বসে না, সন্ধ্যার পর বাজারের অৰ্দ্ধেকটা এখন আর \დწს)