পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि aiहांबंौ মনোজিনীর কথার সুরে তারক হেসে ফেলল, “তাই বলছিলাম, প্রশ্ৰয় দেন। কেন ? মনোজিনী বলল, “ও ! আপনি তাই ভাবছেন, আমার মনটা বিশ্লেষণ করে ফেলেছেন-আমার কোন খারাপ মতলব নেই, তবে ওকে নিয়ে খেলা করতে ভাল লাগছে, কেমন তো ? আপনি মফস্বল থেকে আসছেন। খেয়াল ছিল না ।” | ‘গােঁয়েই বলুন না। স্পষ্ট করে, মফস্বল কেন ?? মনোজিনী। থমকে দাঁড়াল। ভয় দেখানোর ভঙ্গিতে তার বুকে ঠেকিয়ে প্ৰত্যেকটি শব্দে জোর দিয়ে মিষ্টি সুরে বলল, “তারকাবাবু, আপনাকে অবজ্ঞা করে ওকথা বলি নি । মফস্বলের লোককে আমরা অবজ্ঞা করি না । আমি বলতে চাইছিলাম, আপনি বাইরে থেকে আসছেন, আমাদের কতগুলি চালচলনের অভিজ্ঞতা আপনার নেই। সেটা আপনার দোষও নয়, লজ্জার কথাও নয়।” দু’জনে আপিসের সামনে এসে পড়েছিল, বাইরে দাড়িয়ে এবিষয়ে আর তর্ক চলে না । সিড়ি ভেঙ্গে দোতলার সরু প্যাসেজে ক’বার পাক খেয়ে দু’জনে আপিসে পৌছল। মাঝারি সাইজের ঘর। একটি টেবিল, দুটি আলমারি, তিন জোড়া চেয়ার ও পাঁচটি বেঞ্চে ভরা। পোস্টার ও ইস্তাহারে আলমারি দু’টি ঠাসা, টেবিলে কাগজপত্র ছড়ানো, সাজানো আছে শুধু কয়েকটি বঁধানো খাতা ও ফাইল । একটা স্কুলে অনেকটা এইরকম ক্লাশরুমে তারক দেড় বছর পড়েছিল। চেয়ারগুলি ছাড়া বেঞ্চে যারা বসেছে ঠিক তাদের মত পাঁচ ছ’টি বেঞ্চে তারা আট দশটি ছাত্ৰ ভাগে ভাগে বেঞ্চির অনেকটা খালি রেখে গা ঘোষা ঘোষি করে বসত।. সেক্রেটারী কি বলতে দাড়িয়েছিলেন মনোজিনী বাধা দিয়ে বলল, “এক মিনিট কমরেড । এর সঙ্গে সকলের পরিচয়টা করিয়ে দি । রামবাবু একে পাঠিয়েছেন।” সেক্রেটারী বললেন, “আমার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় আছে।” তাৱক জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইল । “চিনতে পারছি না ?” ও আজ্ঞে না, সারা ।” বলেই সে যেন ৎসার শব্দটার ভেতর থেকে চেনার ইঙ্গিত পেতে লাগিল । তারপর হঠাৎ মুখখানা তার হাসিতে ভরে গেল । ‘এবার চিনেছি। আপনার কাছে একনমিকস পড়তাম। এখন কি করছেন d 88