পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यांकि यंइांबत्रौ জীবনের খণ্ডাংশগুলি স্বভাবতঃই বাছাই হবে লেখকের চেতনা ও অভিজ্ঞতা অর্থাৎ জীবন-দর্শন অনুসারে। জীবন-সত্যকে রূপায়িত করার জন্য তাই প্ৰধান কথা হলো লেখকের ওই জীবন-সত্যটা ধরতে পারা । শুধু বুদ্ধি দিয়ে জানা নয় যে, সমাজজীবনে ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে পুনর্গঠনের কাজও চলছে-ভাঙাগড়ার প্রক্রিয়াটা কি ভাবে ঘঠছে কেন ঘঠছে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে জানা, চেতনায় উপলব্ধি করা । মহাত্মা গান্ধীকে তার খণ্ডগুলির যোগফল হিসাবে দেখলে অবশ্যই তাকে নিউরোটিক মনে হবে, কিন্তু গান্ধী চরিত্র ঠিকমতো ফোটাতে গেলে বাছাই করে নিতে হবে তঁৱেই বিশেষ কতগুলি খণ্ড । কোন খণ্ডগুলি বেছে গান্ধীচরিত্রকে কেমন রূপ দেবেন তা নির্ভর করবে কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গান্ধীজিকে দেখে কোন খণ্ডগুলি বাছাই করবেন। একজন মার্কসবাদী এবং একজন অন্ধ গান্ধীভক্তের খণ্ড বাছাই করা স্বভাবতঃই একরকম হবে না এবং দু’জনের আঁকা গান্ধী চরিত্রও একরকম হবে না । প্রিয়-বিরহকাতুরা রমণীর চব্বিশ ঘণ্টার চিন্তার তালিকা পড়লে হাসি পাবে সত্যই। কিন্তু এই উদাহরণটি তুলে ধরার মধ্যেও জীবন সত্য রূপায়ণে আঙ্গিকের ভূমিকা সম্পর্কে আচু্যতবাবুর বিভ্ৰান্তি ধরা পড়ে। বিরহকাতুরার চব্বিশ ঘণ্টার চিন্তার মধ্য থেকে বাছাই করা চিন্তা নিয়ে ওস্তাদ শিল্পী কেন অনবদ্য সার্থক সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারবেন না, যা পড়লে হাসি পাওয়ার বদলে অভিভূত করে দেবে ? বিরহকাতুরার মনে কি প্ৰিয়তম ও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে বিচিত্র বাস্তব জীবন সংগ্রামের স্মৃতি এবং আরও অনেক বাস্তব চিন্তা রেখাপাত করে না ? কেউ যদি বিরহকাতুৱার কেবল ছাকা বিরহ-বেদন ঘটিত চিন্তা বেছে নিয়ে ব্যথার কাব্য রচনা করেন সেটা তার জীবন-দর্শনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই করবেন। বন্ধুবর গোপাল হালদারের সাহিত্য সম্পর্কে অচ্যুতবাবু বলেছেন : “গোপালবাবুর আঙ্গিকে তার বুদ্ধিজীবী সত্তার স্বাক্ষর রয়েছে।” তার ফলে তার উপন্যাসে কি ঘটেছে তাও সুন্দরভাবে উপস্থিত করেছেন এবং গোপালবাবুর উপন্যাসের চরিত্রগুলি কেন মেটাফিসিক্যাল, কেন তারা বদলায় না, কেন “কাহিনীর পর কাহিনী যোগ হয়ে যায়। কিন্তু তাতে জীবনের কোন অন্ধকার কোণে নতুন DBBBBBDBDBD S DDD SDDDSSiDOS S DBBDDS BDBDBBB S DBBDYT SDDBDB ¢Sክ” ஜீ ጶ'ÑÑ i 1.