পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nifer gyrru কঁদিতেছে । উঠিয়া দরজা খুলি, ভূত আর আমার ভয়ে শিলা ভালো করিয়া কঁাদিতেও পারিতেছে না, দুই হাতে চোখ ঢাকিয়া জানালার নিচে বসিয়া পড়িয়াছে। দেখিয়া আমার হৃদয় হিম হইয়া যায় এবং আমি স্পষ্ট অনুভব করি সেখানে অতনুর মুছ'। হইয়াছে। ওঘর হইতে বিছানা টানিয়া আনিয়া নিজেই শয্যা রচনা করিয়া দিই। চােখ মুছইয়া হাত ধরিয়া তুলিয়া দিতেই শিলা নীরবে গিয়া শুইয়া পড়ে। \ আমি ক্ষণকাল বারান্দায় দাড়াইয়া থাকি। খানিক দূরে তেতালা বাড়িটার মাথা ডিঙাইয়া গিয়া বড়ো বড়ো কয়েকটা তারার সংবাদ নিয়া ফিরিয়া আসার পূর্বেই জলীয় কুয়াশায় আমার দু-চোেখ আত্মহারা হইয়া যায়। ভিজা স্তাতসেঁতে তাহার আতি । পাড়া প্ৰতিবেশীরা বলিতে আরম্ভ করিয়াছে, ‘এবার নাতনীর বিয়ে দাও । আমন টুকটুকে নাতনী তোমার।’ নাতনী টুকটুকে বলিয়া নয়, আমার টুকটুকে নাতনী বলিয়া ইহাদের বিস্ময় যেন বেশি। শুনিলে রাগে গা জলিয়া যায়। আমার তিলোত্তম বৌ থাকা যেন অসম্ভব । আমার সুন্দরী মেয়ে যেন ছিল না ! টুকটুকে নাতনী যেন আমার থাকিতে নাই । বলি, “আমার নাতনীর বিয়ের ভাবনা আমিই ভেবে উঠতে পাৱব মিত্তির মশায় ।” সান্যাল বলে, “তা অত ভাবাভাবির দরকার কি ? তুমি নিজেই বিয়ে করে ফেলো না হে। পয়তাল্লিশ বছর বয়সে এমন শক্ত সমর্থ দাদু-নাতনী তোমার বর্তে যাবে।” খুশি হইয়া সান্যালের পিঠ চাপড়াইয়া বলি, “তা মন্দ বলোনি সাম্ভাল। আমিও মাঝে মাঝে ঐ কথাই ভাবি । একটা বেরসিক ছোড়ার হাতে ওকে দিতে আমার একটুও ইচ্ছে নেই।” g