পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांत्रिं जांौ টাইমপিিসটায় দশটা বাজে। বেলা একটা হইতে একভাবে বিধুর শিয়রে বসিয়া আছে। তিনচারবার নিজে ডাকিতে আসিয়া একরকম ধমক খাইয়াই সুকান্ত ফিরিয়া গিয়াছে। কেরানীর কুগ্ৰী বধুর সেবার জন্য ধনীর তরুণী প্রিয়ার এ কি লোলুপতা । মহত্ত্ব সন্দেহ নাই, উদারতারই পরিচয়, কিন্তু কী অস্বাভাবিক ! আধঘণ্টা পরে সুকান্ত আবার আসিল । কোন কথা না বলিয়া গম্ভীর মুখে চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। অসীম কুণ্ঠার সঙ্গে শঙ্কর মিনতি করিয়া হিমানীকে বলিল, আর তো দরকার নেই, এবার আপনি যান। কতক্ষণ এভাবে ঠায় বসে থাকবেন ? অপ্ৰত্যাশিতভাবে এবার কিন্তু প্ৰতিবাদ আসিল সুকান্তর নিকট হইতে-থাক শঙ্করবাবু, কিছু বলবেন না, একেই সেবা করতে দিন । অবাক হইয়া শঙ্কর বলিল, কিন্তুসুকান্ত মাথা নাড়িল কিন্তু নয়। বাড়ী গিয়ে ছটফট করার চেয়ে এখানে শান্তিতে থাকা ভাল। আমার যদি একটু বসবার ব্যবস্থা করে দেন ওর সেবা করাটা দেখতে 에ff II মেঝেতে মাদুর বিছাইয়া দিয়া ঘুরিয়া দাড়াইতেই শঙ্কর দেখিল, হিমনী কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে চাহিয়া আছে। সুকান্ত একপ্রকার দুৰ্বোধ্য হাসি দিয়া সে দৃষ্টিকে নন্দিত করিল, তারপর ঘরের চারিদিকে একবার চোখ বুলাইয়া গম্ভীর হইয়া বসিয়া রহিল । খাদ্য আসিয়াছিল সুকান্তর বাড়ী হইতে । ছেলেমেয়েরা খাইয়া ঘরের এককোণে ক্ষুদ্র বিছানায় জড়সড় হইয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। শঙ্কর বিছানার পাশে মাটিতেই বসিল। বুকের ভিতর চাপর্বাধী দুর্ভাবনা, তবু হঠাৎ তার যেন হাসি পাইল । ঘরে অ্যাজ দুইজোড়া স্বামী-স্ত্রী জড়ো হইয়াছে ; কিন্তু জোড়ায় জোড়ায় কি অসীম পার্থক্য ! শয্যায় পড়িয়া আছে চামড়া-ঢাকা একটা কঙ্কাল, বাসৱ-ৱাত্ৰিতেও যার ওষ্ঠে মধুর বদলে জুটিয়াছিল দাঁতের ফাঁকে ফঁাকে পচা খাদ্যকণার দুৰ্গন্ধ, আজ সাত বছরের বেশী যে তার মনকে উপবাসী রাখিয়া দু’বেলা যোগাইয়াছে শুধু রাধা ভাত । তিনটি পেটমোটা শিশুর শিয়রে বসিয়া আছে একটা কলেপেষা জীবন্ত ইক্ষুদণ্ড, জীবনটা যার স্রষ্টা কবির সৃষ্টির খাতায় ভুলিয়া যাওয়া শাদা পৃষ্ঠা। আর রুগ্নার শিয়রে যে স্ত্রীট বসিয়া আছে, যে স্বামিট বসিয়া আছে তােহাৱই ছেড়া Wowo