পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

哥可动 Գ গিয়াছিল। শ্যাম বটুকা দিয়া তাহার হাত সয়াইয়া দিয়া বলিয়াছিল, কি করা ? ঘাড় ভেঙ্গে , যাবে যে | घाए अद्ध श्शनि ? नiएक शक लांघ्र (qडयर थांगा (5न श्राईब्रांछिल। গিলেছ বুঝি ? তুমি যাও বাবু এখান থেকে, যাও। নেশা করিলে শীতলের মেজাজ জল হইয়া করুণ রসে মন থমথম করে। সে ছলছল চোখে বলিয়াছিল, আর করব না শ্যাম। যদি করি তো খোকার মাথা খাই । थांगा बलिब्रांश्लि, कथांद्म कि शिब्रि। प७ि ना बाबू এখান থেকে | শীতল বড় দমিয়া গিয়াছিল। যেন কঁাদিয়াই ফেলিবে। খানিক পরে শ্যামার বালিশটাকে শোনাইয়া বলিয়াছিল, একবার কোলে নেব না বুঝি । শ্যামা বলিয়াছিল, কোলে নেবে তো আসনপিাড়ি হয়ে বোসো। তুলবার চেষ্টা করলে কিন্তু ভাল হবে না বলে ffo শীতল আসনপিাড়ি হইয়া বসিলে শ্যামা সন্তৰ্পণে ছেলেকে তাহার কোলে শোয়াইয়া দিয়াছিল। লোকে যে ভাবে আচল দুয়ানি দ্যাখে ঝুকিয়া তেমনিভাবে ছেলের মুখ দেখিয়া শীতল বলিয়াছিল, ষমজ নাকি, এ্যা ? নেশার সময় মাঝে মাঝে শীতলের চোখের সামনে একটা জিনিস দুটা হইয়া ষাইত। শুধু সেই একদিন । ছেলে কোলে করার সাধ শীতলের আর কখনো আসে নাই। যে ক'দিন ছেলে বাচিয়াছিল আনন্দ ও ভয় উপভোগ করিয়াছিল শ্যামা একা। পাড়ায় শ্যামার সখী কেহ ছিল না। ছেলে হওয়ার খবর পাইয়া কয়েক বাড়ির কৌতুহলী মেয়ের একবার দেখিয়া গিয়াছিল এই পর্যন্ত। শ্যামা মন খুলিয়া কথা বলিতে পারে এমন কেহ আসে নাই। একজন, যে কখনো এ বাড়িতে পা দেয় নাই, শ্যামার সঙ্গে ভাবি করিতে চাহিয়াছিল। সে পাণ্ডার মহিম তালুকদারের স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়া। পাড়ায় মহিম তালুকদারের চেয়ে বড়লোক কেহ ছিল না। ভাব করা দূরে থাক শ্যামাকে দেখিতে আসাটাই বিষ্ণুপ্রিয়ার পক্ষে এমন অসাধারণ ব্যাপার যে শ্যামা শুধু বিনয় করিয়াছিল, ভাব করিতে পারে নাই । তখন শীতল ছাপাখানায় গিয়াছে, মন্দ রান্না শেষ করিয়া শ্যামার ছেলেকে স্নান করানোর আয়োজন করিতেছে। কে জানিত এমন অসময়ে বিষ্ণুপ্রিয়া বেড়াইতে আসিবেগয়না-পরা দাসীকে সঙ্গে করিয়া ? শ্যামা বলিয়াছিল, ও ঠাকুরবি, ওঘর থেকে কার্পেটের আসনটা এনে বসতে দাও । মন্দা বলিয়াছিল, কার্পেটের আসন তো বাইরে নেই বৌ, তোরঙ্গে তোলা আছে। মন্দার বুদ্ধির অভাবে শ্যামা ক্ষুগ্ধ হইয়াছিল। একটা তুচ্ছ কার্পেটের আসন তাও যে তাহারা তেরঙ্গে তুলিয়া রাখে। বিষ্ণুপ্রিয়কে এ কথাটা কি না শোনাইলেই চলিত না! খুলে আন না ? দাদা চাবি নিয়ে ছাপাখানায় চলে গেছে বৌ। অগত্যা একটা মাদুর পাতিয়াই বিষ্ণুপ্রিয়াকে বসিতে । দিতে হইয়াছিল। মাদুরে বসিতে বিষ্ণুপ্রিয়ার কোনই অসুবিধা হয় নাই, কেবল শ্যামার মনের মধ্যে এই কথাটা খচ খচ করিয়া বিধিয়াছিল ষে এত বড়লোকের বৌ যদি বা বাড়ি আসিল তাহাকে বসিতে দিতে হইল ছোড়া মাদুরে। গরম জল কি হবে ঠাকুরবি ?--বিষ্ণুপ্রিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিল ৷ ছেলেকে নাওয়াবো । নাওয়ান, দেখি বসে বসে। মন্দা হাসিয়া বলিয়াছিল, দেখাও হবে শেখাও হবে, না ? আপনার দিনও তো ঘনিয়ে এল -বলিয়া বিষ্ণুপ্রিয়ার গলায় মুক্তার মালা আর কানে হীরার দুল চোখে পড়ায় অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া মন্দা আবার বলিয়াছিল, তবে আপনি কি আর নিজে ছেলে নাওয়াবেন, ছেলে নাওয়াবার ক'টা দাই থাকবে আপনার ! বিষ্ণুপ্রিয়া এ ধরণের কত মন্তব্য শুনিয়াছে। মৃদু। হাসিয়া বলিয়াছিল, আপনার ছেলেমেয়ে ক'টি ঠাকুরবি ? মেয়ে নেই, তিনটি ছেলে, দু'টি যমজ। কোলেরটিকে সঙ্গে এনেছি, বড় দুটি শাশুড়ীর কাছে আছে। স্নানের জলে পাঁচটি দূর্ব ছাড়িয়া মন্দা জানালা বন্ধ করিয়াছিল। শ্যামা উৎকণ্ঠিত হইয়া বলিয়াছিল, জল বেশী গরম নয় তো ঠাকুরবি ? মন্দা বলিয়াছিল, আমি কি পাগলবেী, গরম জলে তোমার ছেলেকে পুড়িয়ে মারব ? শ্যামা বলিয়াছিল, নরম চামড়া যে ঠাকুরবি, একটু গরম হলেই সইবে না।--জলে হাত দিয়া সে চমকাইয়া উঠিয়াছিল, জল যে দিব্যি গরম গো । জল বুঝি ঠাণ্ডা হতে জানে না ধৌ ? ইহার পরেই বিষ্ণুপ্রিয়ার বসিবার ভঙ্গি অত্যন্ত শিথিল হইয়া আসিয়াছিল। শুমার মধ্যে সে যেন হঠাৎ কি আবিষ্কার করিয়াছে। সে সহজে শ্যামার সঙ্গ ছাড়িবে না । বাড়ি হইতে বার বার তাগিদ আসিয়াছিল। বিষ্ণুপ্রিয়া বাড়ি যায় নাই। বসিয়া বসিয়া শ্যামার সঙ্গে রাজ্যের গল্প করিয়াছিল। কয়েকদিন পরে বিষ্ণুপ্রিয়া আবার আসিয়াছিল। কেহ টের পায় নাই যে সাম্বন দিতে নয়, সে ছেলের জন্য শ্যামার LSBDS BBBD S BDD S HD SsDS DBDD दभिश्लि बicद्म निन ।