পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS 8 वांनिक यंहांत्रौ ব্যাকুল প্রশ্নে, কি হল, কি হল? ভয়াতুর মানুষ ছুটে যায়। তার পাশ কাটিয়ে বিপরীত দিকে, সে চেয়েও দেখে না। বরং তার একটা অদ্ভুত আনন্দ হয় যে এদের সংখ্যা বেশী নয়। দু’দশজন পালাক, সকলে কি করছে দেখতে হবে। তফাতে দর্শক হয়ে দাড়িয়ে থেকে দেখতে সে ভুলে যায়, সোজা চলে যায় ९७gाद्र कigछ, ७Cाद्र भCक्षा । মধুখালিতে তখন মাঝ-রাত্রি পার হয়ে গেছে। গায়ের পূর্ব প্রান্তের কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার আগুনের শিখায় রক্তিম হয়ে উঠেছে। অল্প দূরে নদীর জলও লাল হয়ে গেছে উদয় রশ্মির ছোয়াচ লাগার মতো। সমুদ্রের দিকে প্ৰায় এক মাইল নামায় নদীর ধারে কেশব বস্থির ঘর, সেখান থেকে মধুখালির আগুন দেখা যায়। গোঙাতে গোঙাতে যাদব বলে, ‘গণশার মা, শুলে পারতে না একটু ? রাণী তুই শোনা একটু বাছা ? কত কষ্ট কত হাঙ্গামা আছে আদেষ্টে এখনো ঠিক কি তার ? “শুয়ে কি হবে ? শুলেই ডাকবে, বলবে, চলো এবার। কপালে দুঃখুঢ়া আছে তো আছে!’ গণেশের মা জবাব দিয়ে মস্ত হাই তোলেন, হাঁ বুজবার আগেই কঁথাটা ঠিক করে দেন ছোট ছেলে দুটোর গায়ে। তারা অঘোরে ঘুমোতে আরম্ভ করেছে শোয়ার সুযোগ পাওয়া মাত্ৰ । রাণী উত্তরের বেড়ার জানালার ঝাঁপ উচু করে তাকিয়ে থাকে দূরের রক্তচিহ্নের দিকে। শুয়ে পড়ে একটু বিশ্রাম করে নেবার জন্য যাদবের আবেদন তার কানে পৌছেছে মনে হয় না। তার শরীরের শিরা-মাংস মাটিতে আছড়ে পড়ে বিশ্রাম খোঁজার মতো অবসন্ন, হঠাৎ হাঁটু ভেঙে হয়তো সত্যি সত্যি পড়ে যাবে, কে জানে। কিন্তু দূরের ওই আগুনের রক্তিম সংকেত থেকে চােখ সরিয়ে নেবার ক্ষমতা তার নেই। সাদা চুনকাম করা মাটির দেয়ালের ওপরে সুন্দর করে ছাওয়া কয়েকটা চালা শুধু পুড়ছে না। ওখানে, সীতা দেবীর অগ্নিপরীক্ষার আগুন জালিয়ে দিয়েছেন দেবতারা তার সতীত্ব রক্ষার জন্য, একেবারে শেষ মুহূর্তে। হৈহৈ রৈরৈ আওয়াজ এসেছিল কানে, মনে হয়েছিল দু’কানে এতক্ষণের বিমঝিম আওয়াজ এবার বদলে গেল কানের পর্দা ফেটে মাথার ঘিলু বেরিয়ে আসছে বলে, এবার সে মরবে। যাক বাচা গেল, সে ভেবেছিল, মরার পর যা খুন্সী করুক তাকে নিয়ে বেঁটে মোটা লোকটা, সে তো আর জানবে না বুঝবে না। গা সুদ্ধ লোক ষে হৈ হৈ করে তাকে ছিনিয়ে নিতে এসেছে রাবণের হাত থেকে তা কি সে জানত! বিশ্বাস করতে পারে নি, মনে হয়েছিল কোটালের জোয়ার বুঝি আসছে নদীতে, ও তারই গর্জন ।