পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ কাল পরশুর গল্প 88令 গাড়ীর পিছনে আসতে। দাস সাহেব ভেতরে ঢোকা মাত্র মাখন আর সুশীলা টের পায় এই বিকেল বেলাই সে মদ খেয়েছে। “আপনার স্ত্রীর সঙ্গে তো পরিচয় করিয়ে দেন নি ? “এই যে দিচ্ছি। শুনছো, ইনি আমাদের মিঃ দাস ৷” পরনের বেনারসীর রঙের মতো সুশীলা সলজ্জা ভঙ্গীতে একটু হাসে, নববধূৱ মতো ! বৌয়ের মতোই যে তাকে দেখাচ্ছে সুশীলার তাতে সন্দেহ ছিল না। দাস সাহেব আলাপী লোক, অল্প সময়ে আলাপ জমিয়ে ফেলে। যে চাপা ক্ষোভ সুরু হয়েছিল মাখনের মনে অল্পে অল্পে তলে তলে তা বাড়তে থাকে। স্ত্রীর সঙ্গে একজন যখন কোথাও যাচ্ছে, বিনা আহবানে কেউ এভাবে গাড়ী চড়াও হয়ে তাদের ঘাড়ে চাপে না - অন্তত যাদের সঙ্গে সাধারণ ভদ্রতা বজায় রাখবার কিছুমাত্র প্রয়োজনও মানুষটা যদি বোধ করে। বার বার এই কথাটাই মাখনের মনে হতে থাকে যে, অন্য কেউ হলে তার সঙ্গে এরকম ব্যবহার করার কথা দাস ভাবতেও পারত না । দাস বলে, “চা খেয়েছেন ?” সুশীলা বলে, “না ।” ‘আসুন না। আমার ওখানে, চাটা খাওয়া যাবে।” । মাখনের দিকে মুখ ফিরিয়ে দাস যোগ দেয়, “সেই কনট্রাক্টের কথাটাও আপনার সঙ্গে আলোচনা করা যাবে। আপনাকে খুজছিলাম।” মাখনের দু'চোখ জল জল করে ওঠে। সুশীলার নিঃশ্বাস আটকে যায়। আজ ক’দিন ধরে মাখন এই কনট্রাক্টটা বাগাবার চেষ্টা করছিল- প্ৰকাণ্ড কনট্রাক্ট, লাখ টাকার ওপর ঘরে আসবে !! দাস যেন কেমন আমল দিচ্ছিল না তাকে, কথা তুললে এড়িয়ে এড়িয়ে যাচ্ছিল। ঈশ্বরীপ্রসাদকে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করতে দেখে আর তার সঙ্গে দাসের দহরম দেখে ব্যাপার অনেকটা অনুমান করে নিয়ে আশা এক রকম মাখন ছেড়ে দিয়েছিল। দাস আজ ও-বিষয়েই তার সঙ্গে কথা কইতে চায় ! এই দরকারে তাকে খুজছিল । সম্রান্ত সহরতলীতে দাসের মন্ত বাড়ী। সামনে সন্ধান্ত বাগান। অনেকগুলি চাকর-খানসামা নিয়ে এত বড় বাড়ীতে দাস একা থাকে। বিয়ে করেনি, বৌ নেই। আত্মীয়স্বজনদের সে সাহায্য করে। কিন্তু কাছে রাখে না। সখী হলে মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গ উপভোগ করে দু’চার দিনের জন্য, চুটি ভোগ করার মতো । r ষেই আসুক সাহেব বাড়ী নেই বলে দরজা থেকে বিদায় করে দেবার হুকুম জারি কৱে দাস তাদের ভেতৱে নিয়ে বসায় । ঘৱেয় সাজসজ অৱ আসবাবপত্র afv-( bb )-Ra