পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

त्रइ ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়া। ঋণের বোঝায় চাষী কাতর। ফসল ঘরে তোলা তক কটা দিনও কিছুতে কাটাতে না পেরে এখনো বাজু পৈছা ঘটি বাটি বাধা পড়েছে। পেট ভরে কজনেই বা কবে তারা খায়, এখন তাতেও টানাটানি পড়েছে ফসল তোলার আগে, সিকি থেকে আধেক নেমে গেছে সেই অ্যাতটুকু খোরাক। মাটির কুঁড়োয় কজনেই বা কবে তার হাসে, এটুকু তবু যে ভেঁাতাটে খুলী খুলী দেখাত তাদের মুখ সে মুখে ঘনিয়েছে প্ৰাণহানিকর বিমৰ্ষতা । মাঠে মাঠে এমন যে ভাল ফসল হয়েছে এবার, তা দেখেও না জুড়োচ্ছে তাদের চোখ, না থামতে দেহামনের শোষ্যমান শান্তশিষ্ট নালিশ-ভোলা জালা । এমন দিনে চাষী হয়েও গৌরের মনে কিনা থৈ থৈ করছে মহুয়ার মিঠে নেশার মত সুখের মাতলামি! একটা মা নিয়ে তার সংসার, সে সংসার ঘাডে চেপেছে এই সেদিন, সে কি জানবে চাষ করে বঁাচার কত মজা । চাদ বেশ কৃপণ আর হিসেবী । তার সাথে থাকার সময় বরং গৌর খানিক খানিক স্বাদ পেয়েছে। গরীব চাষীর খাওয়া পরার কষ্টের। শুধু ওই কষ্ট, মনের কিছু নয়। অনেকের দায়িক হয়ে অবিরাম ঠেঙ্গানো খাওয়া ভীরু মন ভাবনার ভারে যে ভাবে ধুকতে থাকে সেটা সে,এখনো শিখতে পারেনি। কম করে শ'খানেক ওরকম আধমরা মানুষের সঙ্গে তার জানা শোনা আছে, তবু। চাঁদকাকার কাছে ভাগ পেয়ে সবে ভিন্ন হয়ে মা আর গাইটা পুষে সে একরকম সুখেই আছে এখনো । গাইটিও আবার রোজগোরে। অঢেল প্ৰেমে গা ঢেলে দিতে তার বাধা কই ? फ्रिला दाल शांझ, 'आख 6ष७ ।' বলে যায় সঁাঝের আগে । তারপর সন্ধ্যা নামে তো রােত আর বাড়ে না। গৌরের। মন-যাত চনমান করে অধীরতায়, গা যেন ততই থমথম করে ধৈর্য ধরার জরে । সেদিনের চাদ ক্ষয়ে গেছে অনেকখানি, মাঝ রাত্রি পেরিয়ে তবে ওঠে। মােঝ রাত্রির অনেক আগেই গৌর তারার আলোয় পথ দেখে রওনা দেয় হৱেৰ্নাম রাইস মিলের দিকে । মা বলে, “কুন্থা যাস বাবা ? রেতে ? ‘রঘুর সাথে সলা আছে।”