পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਨੇ । NUO বরবাদ করেই থাকে, সেটা জানলে তার কি আর বেশী ক্ষতি হবে ? এলোমেলো ছাড়া ছাড়া কথা হয় দু’জনে। নিজেই হাত বাড়িয়ে গৌর হুকোটা নেয় । বলে, “কদিন চলবে। আর এরকম ? রঘু বলে, “ভগবান জানে। নিতায়ের মেয়েটা নাকি কোথায় ভেগেছে। কাল।” ‘মাইরি বলছিস ? কার সাথে গেল ? “ভগবান জানে। পটল নাকি পেছনে ছিল শুনলাম-সহরে সরিয়েছে।” বিরাজ এসে ঘুরে যায়। ধান কেমন সেদ্ধ হচ্ছে দেখতে। খানিক পরে আবার আসে। মনে কথাটা ধৈৰ্য্য ধরে আর সে চেপে রাখতে পারে না । “কি সলা হচ্ছে শুনি তোমাদের ? ধান যদি চাইতে এসে থাকো গৌর ঠাকুরপো—” গৌর সজোরে মাথা নাড়ে।—“না ধান চাইতে আসি নি।” তারপর অন্তরঙ্গের মত হাসবার চেষ্টা করে বলে, ‘চাই যদি, দেবে না ? বল কি গো ! আমি চাইলে দেবে না ? এ যেন তামাসার ব্যাপার ! বিরাজ বলে, “থাকলে কি দিতে অসাধা ? কোথায় পাব যে তোমায় দেব ! আধাপেটা খাচ্ছি সব — মুঠ মেপে চাল নিচ্ছি।” তবু গৌর কথাটাকে গায়ের জোরে তামাসার পর্যায়ে রাখতে চেষ্টা করে, হাঙ্কা হাসির ভান করে বলে, “আমার জন্যেও নিও বৌঠান আজ থেকে। বিশ মুঠো নিও, তাতেই হবে, বেশী চাই না।” রঘুবলে, 'ধান যদি কিছু যোগাড় করতে পারিস গোর“যোগার কিসের ? গোলা ভতি ধান রয়েছে।” ‘তামাসা নয়! ধান পেলে কিছু কিছু শোধ দিস তোর কাছে যা পাব।” বিরাজ যোগ দেয়, “একটা পেট তোমার-মা বুড়ী আর কতই বা খায় ? তোমার ভাবনা কি বলে। এত লোকের সংসার হলে টের পেতে । গৌর তৰু হাসে।— ‘বড়লোকের বড় সংসার। আমার মত বড়লোক যদি श0७- r মন এদিকে তার পুড়ে যেতে থাকে। আচমকা উঠে দাড়িয়ে সে একরকম পালিয়ে আসে রাস্তায় । দুপুরের রোদে যেন উজ্জ্বলতা নেই, শুধ বাঝ । দু’চারটি জীবন্ত কঙ্কাল উ{