পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী “আর খাব না। দাদা !” মাথা নীচু করিয়া নগেন বসিয়া আছে ধরা-পড়া চোরের মত। সামনে সিগারেট খাওয়ার অনুমতি দেওয়াকে নগেন তবে ক্রুদ্ধ দাদার ভৎসনা মনে করিয়া লজ্জায় অনুতাপে কাবু হইয়া পড়িয়াছে! তাই স্বাভাবিক বটে ! এতক্ষণ সে ভুলিয়াই গিয়াছিল, যাত্রা আরম্ভ করা মাত্র পারিবারিক জীবনটা তার নূতন রীতিনীতিতে চলিতে আরম্ভ করে নাই, সকলের চেতনা নূতন ভাবে গড়িয়া উঠে নাই, ভাই-এর সঙ্গে তার সম্পর্কটা এতকাল যেমন ছিল এখনও তেমনি আছে। মার মত ওকেও বুঝাইয়া পড়াইয়া না নিলে তার কথা ও কাজের ভুল মানে বুঝিবার সম্ভাবনা পদে পদে রহিয়া গিয়াছে। কেবল ওদের দু’জনকে নয়, সকলকে বুঝাইতে হইবে। সকলের চিন্তাধারাকেই তার নতুন পথ দেখাইয়া দিতে হইবে। নতুবা সে কি ভাবিয়া কি বলে আর করে, ওরা বুঝিতে পরিবে না। চিন্তাটা তাকে পীড়ন করে। মনে হয়, নূতন একটা ষ্টেজে অভিনয় করার জন্য সকলকে সে যেন নিয়া চলিয়াছে, অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের অভিনয় করিতে শেখানোর ভারটাও তার ! চিন্ময় স্টেশনে আসে নাই । স্টেশনের কুলীরাই তাদের প্রথম অভ্যর্থনা জানায়। লাবণ্য মুখ বাকাইয়া বলে, “বন্ধু ! তোমার সহুরে বন্ধু!” অনেকদিন আগে চিঠিতে চিন্ময় তাকে ইঙ্গিতে গেয়ে বলিয়াছিল, বলিয়ছিল তাকে প্ৰশংসা করিবার জন্যই, কিন্তু লাবণ্য করিয়াছিল রাগ । লাবণ্য কি এখনো তাহা ভোলে নাই ? চিন্ময় স্টেশনে আসিবে বলে নাই, মোহনও তাকে স্টেশনে হাজির থাকিতে লেখে নাই। কবে কোন ট্রেনে কখন তারা পৌছিবে শুধু এই খবরটা তাকে জানাইয়া দেওয়া হইয়াছে বলিয়াই মোহন প্রত্যাশা করিতেছিল। সে নিশ্চয়ই সাগ্রহে তাদের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করিবে । গ্রামের কত লোক তাদের গাড়ীতে উঠাইয়া দিতে সঙ্গে আসিয়াছিল, অনেকের চোখ সে ছল ছল করিতে দেখিয়াছে। এখানে তার বন্ধু আছে মোটে একজন, সেও তাকে নামাইয়া নিতে স্টেশনে अनिल भी ? Styb”