পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা ডাক্তার আশা করিতেছে দু’চার দিনের মধ্যে সলিড ফুড দেওয়া চলিবে, হঠাৎ দেখা গেল সে বাড়ী নাই। সেই অবস্থায়, উঠিয়া দাড়াইলে যখন টলিয়া পড়ার উপক্রম করে, কোন সুযোগে উৰ্ম্মিলার বাক্স খুলিয়া গয়না নিয়া সরিয়া পড়িয়াছে। দু’দিন পরে খবর আসিল অজ্ঞান অবস্থায় সে হাসপাতালে পড়িয়া ङाgछ । ‘ধ্যানধারণা ধৰ্ম্মালোচনা ছাড়া দাদা থাকতে পারতেন না, নোংরামি ছাড়া নয়ন থাকতে পারে না। দাদা। তবু শরীর একটু ভার বোধ করলেই সব বন্ধ করে দিতেন, সন্ধ্যাঙ্কিক পৰ্য্যন্ত করতেন না। নয়নের সাধনা আরও জোরালো, মরতে মরতেও প্ৰাণপণে নিজের তপস্যা চালিয়ে যায়। আমার কি মনে হয়। জানো মোহন ? দাদা যদি অতবড় মহাপুরুষ না হতেন, নয়নের বিকারটা এমন bद्धCभ iिgांड का।' মোহন চুপ করিয়া রহিল। প্ৰথম অপরাধ করেছিল সতের আঠার বছর বয়সে। অনেক বাড়ীতে অনেক ছেলেই ওরকম অপরাধ করে। কোন বাড়ীতে একটু শাসন করা হয়, কোন বাড়ীতে শুধু উপদেশ দেওয়া হয়, ব্যাপারটা চাপা পড়ে যায়। ছেলেটা কিছু দিন মুখ দেখাতে লজ্জা পায়, তারপর ধীরে ধীরে সামলে ওঠে। কিন্তু আমাদের বাড়ীতে ছিলেন দাদা, আধা লাখ স্ত্রী পুরুষ যাকে দেবতার মত পূজা করে। দাদার দোষ দিই না। তিনি কিছুই করেননি। তিনি শুধু ছিলেন, আর কিছু নয়। বাড়ীর সকলে নয়নের ছেলেমানুষীর কথা ভুলে গেল, কিন্তু সে যেন কেমন হয়ে গেল। তখন বুঝতে পারিনি, এখন বুঝতে পারি। তার মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া চলছিল। নিজে কি করেছে না করেছে তার চেয়ে তার কাছে বড় হয়ে উঠেছিল, এমন দাদার ভাই হয়ে সে অপরাধটা করেছে।”

  • ওরকম হয় ।” ‘হঁ্যা, একজনের মন যখন অন্য একজনের বশে থাকে, তখন সে নিজের কাজের

গুরুত্ব যাচাই করে অন্য একজনের মাপ কাঠিতে। দাদা একটি মেয়েকে ভালবাসার চিঠি লিখে কেলেঙ্কারি করলে সেটা যেমন সৃষ্টিছাড়া ভয়ঙ্কর ব্যাপার হত; নিজের কাণ্ডটা নয়নের কাছে ঠিক ততখানি গুরুতর হয়ে উঠেছিল। সঙ্গদোষ ঠিক এইভাবে কাজ করে।” ঝরণার অভিযোগটা সে তেমন আমল দেয় নাই। কথাটা সত্য সন্দেহ We