পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণেন্দুকে কিন্তু জিজ্ঞেস করা যায়, যে সে কেমন ধারা মানুষ, রামপালের ग्रंथ उठांद्म *ळकृऊ cकन् । রম্ভার কথা ধাধার মত ঠেকে কৃষ্ণেন্দুর কাছে । ‘আমি রামপালের কি করলাম রম্ভা ? দু’একবার দেখেছি মাত্ৰ, ভাল করে ওকে চিনি না। আমি, আমার কেন শক্রিতা থাকবে ওর সঙ্গে ? আমি ਇਫ ਹੋਸ਼ “আপনি তো তার করে সবাইকে বারণ করে দিলেন ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে ওকে, অপদস্থ করলেন । অন্য কেউ আজে বাজে লোক হলে কথা কইতাম না কেষ্টদা । এমন লোক কিন্তু খুজে পাবেন নাকে আর একটা । জানেন, পুলিশ আসতে সবাই পালালে, ও এক দাড়িয়ে রইল, ধরা দিল । হাঙ্গামা মেটাবার জন্য কত করেছে জানেন ? মিটমাট না করলে উমাবাবুকে মেরে দশ বছর জেল খাটতে পৰ্যন্ত রাজী আছে। আপনি না। আপশোষ । করতেন। খাটি লোক, কাজের লোক মেলা বড় কষ্ট ? আরও কত কি বলতেন বড় বড় কথা মনে নেই ভাবছেন ?--সব মনে আছে। আপনিই কিনা শেষে নিজের কৰ্ত্তালি বজায় রাখতে হিংসে করে ওর মন ভেঙ্গে দিলেন, দমিয়ে দিলেন মানুষটাকে !” ব্যাপার খানিকটা বোধগম্য হওয়ায় এবার কৃষ্ণেন্দু প্রশ্ন করে, “রামপাল তোমার কোন ভাই রম্ভা ? তোমার ভাইদের নাম ভুলে গেছি।” রম্ভ রাগ করে বলে, “ভাই ? ভাই হতে যাবে কেন আমার ? আমার কেউ হয়। না। এই তো কদিন আগে চেনা হল কলকাতায় এসে। বেশ মানুষ ए»बि ? রম্ভ কলহ করে আর তাকে দেখে কৃষ্ণেন্দুর মনে পড়ে যায় স্টেশনে মমতার কলহের ভঙ্গি ও কথা । রম্ভা সত্যই কোমরের কাপড় জড়িয়েছে। কলহ করার জন্য এখানে এসে নয়, আগে থেকেই জড়ানো ছিল, মনের মধ্যে ঝগড়া ভাঁজতে ভাজতে মাসগুল হয়ে আসায় জড়ানো আঁচল খুলতে ভুলে গেছে । ছোট কথা নিয়ে, মিছে নালিশ ধরে, ছেলেমানুষী কলহ করছে রম্ভ কিন্তু কৃষ্ণেন্দুর মনে হয় মমতার নিজেকে নিয়ে কলহ করার চেয়ে জোরালো আর জমজমাট হয়ে উঠেছে। পরের জন্য রম্ভার ঝগড়া । রম্ভার বিরোধ তেজী, (α) 8 8e